ঝাড়খণ্ডের দুই কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা। অফিসাররা এলেন বিজেপির স্টিকার লাগানো গাড়িতে চেপে। তা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। মাত্র দুদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে কয়লাখনি কাণ্ডে তলব করে ইডি। হেমন্ত বলেন, যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যদি অভিযোগ থাকে তাহলে গ্রেফতার করুক।
ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস-জেএমএম জোটের অভিযোগ, সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছে বিজেপি। এজন্য ছকও সাজাচ্ছে। রাজ্য বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি রাজ্যের বেআইনি কয়লাখনি নিয়ে আর্থিক বেনিয়মের দায়ে ইডি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে তলবের পরে গতকালই আয়কর হানা দিয়েছে দুই কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল ও প্রদীপ যাদবের বাসভবনে।
জয়মঙ্গল বানো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রদীপ যাদব আগে ছিলেন ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার (প্রজাতান্ত্রিক) নেতা। বিধায়ক প্রদীপ যাদব দলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছেন দল বিজেপির সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরে। এরপর ২০২০ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন।
জয়মঙ্গলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। তাঁর রাঁচির বাসভবনে আয়কর দফতরের অফিসারদের তিনি তল্লাশিতে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। এছাড়াও অভিযোগ করেছেন, বিজেপি তাঁকে চাপে রাখতেই আয়কর হানার কৌশল নিয়েছে। এভাবে তাঁকে ভয় পাওয়ানো যাবে না।
গত অগাস্ট মাসে জয়মঙ্গল পুলিশে অভিযোগ করেছেন, বিজেপি যেনতেনপ্রকারে ঝাড়খণ্ড সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে। এজন্য পরিকল্পনা সাজিয়েছেন তিনজন দলীয় বিধায়ক। সম্প্রতি জয়মঙ্গলও এও অভিযোগ করেন, ইরফান আনসারি, রাজেশ কাচ্ছপ এবং নামান বিকসাল কোনগারি নামে ওই তিন দলীয় বিধায়ক তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছেন কলকাতায় গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠকে বসতে। ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলার পরিকল্পনা সাজাতে।
আরও পড়ুন: Salt Lake Guest House: সল্টলেকের যুবক নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার বান্ধবী
দুই বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানার পরে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, অবিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে সরকার ফেলার জন্য বিজেপির ষড়যন্ত্রের কৌশল নতুন কিছু নয়। সেই একই অপকৌশল ঝাড়খণ্ডেও কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।