কলকাতা: আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ( Civic Volunteer) ভূমিকা ঠিক কী ? এই প্রশ্ন তুলে সিভিকদের কাজের গাইড লাইন (Guide Line) তৈরি করতে রাজ্য পুলিশের আই জিকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (High Court)। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) নির্দেশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কি কি কাজে ব্যাবহার করা হয়, সেই ব্যাপারে একটি গাইড লাইন তৈরি করে আগামী ২৯ মার্চ তা আদালতে জমা দিতে হবে।
এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে সরশুনা থানার বিরুদ্ধে। তারপর থেকে সেই যুবক নিখোঁজ বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। যুবকের পরিবার হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় বলা হয়, ওই যুবককে যখন তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন পুলিশের সঙ্গে দুজন সিভিক ভলেনটিয়ার তাকে জোর করে গাড়িতে তোলে। ওই যুবকের পরিবারের আইনজীবী সব্যসাচী চাটার্জীর দাবি করেন, এর আগেও হাওড়ার আনিস খানের বাড়িতে আমতা থানার পুলিশ গভীর রাতে গিয়ে হামলা চালায়। সেখানেও সিভিক ভলান্টিয়াররা বাড়িতে ঢুকেছিল বলে পুলিশ স্বীকার করে।
আরও পড়ুন : DA | ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি, হবে ১১ এপ্রিল
উল্লেখ্য, একটি বেসরকারি সংস্থার ‘অঙ্কুর’ প্রকল্প অনুযায়ী বাঁকুড়া জেলা পুলিশ বেশ কয়েকটি থানা এলাকায় প্রায় ১৫০টি স্কুলে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের অঙ্ক ও ইংরেজি পড়ানোর জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব দিতে চায়। এর জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। ওই স্কুলগুলিতে সাপ্লিমেন্টারি ক্লাসে সিভিক ভলান্টিয়াররা অঙ্ক এবং ইংরেজি পড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাঁকুড়া পুলিশের ওই সার্কুলার তাঁর টুইটে পোস্ট করে লেখেন, রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাই লাটে তুলে দিতে চাইছে। মাধ্যমিকে এবার চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতর ৮,২০৭টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুভেন্দু বলেন, এখন আবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক পড়ুয়াদের অঙ্ক ও ইংরেজি পড়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তে হতবাক শিক্ষাবিদরা। তীব্র কটাক্ষ করেছেন, শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। সমালোচনা করেছেন অনেকেই। এরপর ওই সিধান্ত স্থগিত করা হয়। কেন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের বদলে, স্থগিত রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তলেন পবিত্র সরকার।