বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat), পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) বহু আসনে প্রার্থী (Candidate) দিতে পারেনি বিরোধীরা। জেলার সবার উপরে তালিকায় রয়েছে মঙ্গলকোট (Mongalkote) ও কেতুগ্রাম (Ketugram)। মঙ্গলকোটে 148টি ও কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকে ১৪১টি আসনে বিরোধীরা (Opposition) মনোনয়ন দিতে পারল না। মঙ্গলকোটে পাঁচটি পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ। কেতুগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতি ও দুটি পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ তৃণমূল কংগ্রেসের। বিরোধীদের অভিযোগ সন্ত্রাসের বাতাবরণে তারা মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি। তৃণমূলের দাবি, প্রার্থী না থাকায় ওরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় পঞ্চায়েত ১০১৫টি বুথে কোনও নির্বাচন হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতি ৩১৬টি ও জেলা পরিষদের দশটি আসন ছিল বিরোধী শূন্য। ২০১৮ সালে বিরোধীরা ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল। ২০২৩ সালে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বিরোধীরা সেভাবে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ না করলেও দেখা যাচ্ছে, ৬৭১টি আসনে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই পূর্ব বর্ধমান জেলায়। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭৬ আসনে বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী নেই।
মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম এর পরে ভোট না হওয়ার তালিকা রয়েছে বর্ধমানের বেশ কয়েকটি জায়গায়। মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম, গতিষ্ঠা, লাখুরিয়া, মঙ্গলকোট ও জিলু ১নম্বর পঞ্চায়েতে তৃণমূল ছাড়া অন্য দলের কেউ মনোনয়ন জমা দেয়নি। মঙ্গলকোট ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েতে ২৪৪ টি আসনের মধ্যে ১৫৮টি আসনে তৃণমূল একাই মনোনয়ন দিয়েছে বাকি বিরোধীদলগুলো মনোনয়ন দিতে পারেনি।পঞ্চায়েত সমিতির ৪৫টি আসনের মধ্যে ২৪ টি আসনে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও প্রার্থী নেই।মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম গতিষ্ঠা, লাখুরিয়া পঞ্চায়েতের ১৫টি করে আসন। মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনে, জিলু ১নম্বর পঞ্চায়েতের ১২ টি আসনে বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: C V Ananda Bose | ক্যানিংয়ে গেলেন রাজ্যপাল বোস
মঙ্গলকোটের পঞ্চায়েত সমিতি ও পাঁচটি পঞ্চায়েত, পালিগ্রাম, গতিষ্ঠা, লাখুরিয়া, ঝিলু এক নম্বর, ও মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েত। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ তৃণমূলের।মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর দাবি, বিরোধীদের প্রার্থী না থাকায়, কেউ প্রার্থী দিতে না পারায় এই আসনগুলোতে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক এলাকার সিপিএম নেতা শাহজাহান চৌধুরী অভিযোগ, ২০১৮ এর মতো সন্ত্রাস না হলেও সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে সেই কারণেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৪৮টা সিট দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, কেতুগ্রামে 141 টি আসনে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই।তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মুখার্জির দাবি, প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিরোধীরা।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল , কেতুগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে রাজুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও আগরডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছে