ভারতীয় সংস্থার ওষুধ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু! দেশেও কেলেঙ্কারি কম নেই। ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে আফ্রিকা মহাদেশের গাম্বিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৬৬টি শিশুর। মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল নামে ওই সংস্থার দিকে সঙ্গত কারণেই আঙুল উঠেছে। এখন জানা যাচ্ছে, ভারতেও এই সংস্থাটি একাধিকবার বড়সড় গণ্ডগোল করেছে। এই সংস্থার বেশ কিছু ওষুধ সঠিক গুণমানের নয় বলে দাগিয়ে দিয়েছে দেশের চারটি রাজ্য। এমনকী, মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসকে ২০১১ সালে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ভিয়েতনাম।
গণস্বাস্থ্য বিষয়ক নামী সমাজকর্মী দীনেশ ঠাকুর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেশে এই সংস্থার পুরনো ‘রেকর্ড’ তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে এত খারাপ রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ওই সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। দীনেশ ঠাকুর বলেন, “এই সংস্থা গুণমান নিয়ন্ত্রণে প্রবলভাবে পিছিয়ে। আমাদের দেশে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন নামে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা রয়েছে। তবে প্রত্যেক রাজ্যেরই নিজস্ব সংস্থা রয়েছে। কেরল এবং গুজরাটের রেগুলেটরি সংস্থা জানিয়েছিল, মেডেন ফার্মা সংস্থার ওষুধ খারাপ গুণমানের। তাদের একটি সিরাপকে কালো তালিকায় ফেলেছিল বিহারও।”
আরও পড়ুন:FIR against Laluprasad: সিবিআইয়ের চার্জশিট, লালুর সমর্থনে এগিয়ে এলেন নীতীশ
সমাজকর্মীটি ভিয়েতনামের নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, “বেশ কয়েক বছর আগে গুণমান সঠিক না হওয়ার কারণে অনেকগুলি সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভিয়েতনাম। সেই তালিকায় ছিল মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসও। যখন এমন রেকর্ড এই সংস্থার, তখন অনুমোদন পায় কেমন করে? রফতানির অনুমতি শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় অনুমোদনকারী সংস্থাই দিতে পারে।”
এদিকে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশটিতে শিশুমৃত্যু নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ঘটনায় ভারতীয় ওষুধ সংস্থা জড়িত জানার পরেই দেশের সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে কাশির সিরাপের পরীক্ষা চলছে। গাম্বিয়া সরকারের তরফে প্রতিটি বাড়ি থেকে সর্দি-কাশির সিরাপ সংগ্রহ করা হচ্ছে। অভিযোগ, এই সব সিরাপ খেয়েই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এতগুলি শিশুর।