কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে আরও রহস্য (Misyery)। হৈমন্তীর (Haimanti) পর তদন্তে উঠে এল আরও এক তরুণীর নাম। নাম এসেছে বিকাশ দুবে পণ্ডিত (Bikash Dube Pandit) নামে এক যুবকেরও। সিবিআইয়ের (CBI) হাতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষের (Trinamul Youth Leader Kuntal Ghosh) ডায়েরি সূত্রেই বিকাশের নাম জানা যাচ্ছে। কুন্তলের ডায়েরিতে তাপস মণ্ডল (Tapash Mandal), গোপাল দলপতির (Gopal Dalpati) মতো বিকাশের নামের পাশেও বিপুল পরিমাণ টাকার কথা লেখা হয়েছে।
তবে কে সেই তৃতীয় রহস্যময়ী নারী, তা শুক্রবার রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpitta Mukhopadhyay) খোঁজ পায় সিবিআই। তাঁর হরিদেবপুর এবং বেলঘরিয়ার (Haridevpur and Belgharia) ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি নগদ টাকা মেলে। সম্প্রতি সিবিআই কুন্তলের পাশাপাশি নীলাদ্রি ঘোষ. শাহি ইমামের মতো প্রায় সাতজন এজেন্ট এবং সাব এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রেই উঠে আসে হৈমন্তীর নাম। এবার সন্ধান মিলল তৃতীয় নারীর।
আরও পড়ুন: Mysterious Haimanti Ganguly: কোথায় সেই রহস্যময়ী হৈমন্তী?
তদন্তকারীদের হাতে টাকা লেনদেনের যে সব কাগজপত্র এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ধৃতদের মধ্যে কোটি টাকা দেওয়া নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তের শুরুতেই সিবিআই অফিসাররা দাবি করেছিলেন, পিঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো পরতে পরতে তথ্য হাতে আসছে। এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে। তদন্ত যত অগ্রসর হচ্ছে, ততই নতুন নতুন নাম পেয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, কুন্তল, তাপস মণ্ডলরা অনেক তথ্য এখনও গোপন করে চলেছে। তারা তদন্তকে কিছুটা বিভ্রান্তও করছে।
আদালতে প্রায় রোজই সিবিআই এবং ইডিকে বিচারপতি বা বিচারকদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তদন্তে দেরি হচ্ছে বলে। কখনও নিম্ন আদালতের বিচারক বলছেন, রামকৃষ্ণদেব ভক্তদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আমার গুরু হল আমার ঈশ্বর। আপনারা এই দুর্নীতির গুরু কে, তাকে খুঁজে বার করুন। কখনও তিনি শেক্সপিয়রের উপন্যাসের কথা টেনে আনছেন। আবার বিচারপতিরা বলছেন, মাথা কবে ধরা পড়বে। বিরোধীরা বলছেন, কেবল চুনোপুঁটি ধরলে হবে না। রাঘব বোয়াল ধরতে হবে।