Murshidabad: নদিয়ার তৃণমূল (TMC) নেতা খুন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। থানারপাড়া থানার নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের পিয়ারকাটায় দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। নওদায় আমতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মতিরুলকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাপস সাহার দাবি, সিপিএম (CPM), বিজেপি (BJP), কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে তৃণমূলের একটি অংশ মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। দীর্ধদিন ধরে মতিরুলকে খুনের চেষ্টা চলছিল। তাপস জানান, মতিরুল করিমপুর ১ এবং ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু (Minority) সেলের সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা পথ অবরোধ করেন। সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন হয়েছেন মতিরুল। বিধায়ক তো বলেই দিয়েছেন, তৃণমূলের একটি অংশও এই ঘটনায় জড়িত। বিরোধীদের কথা তিনি বলতে হয়, তাই বলেছেন। সিপিএমের এক নেতা বলেন, দেখুন, নিজেদের মারামারিতে আরও কত খুন হয় আগামিদিনে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বেনামী আবেদনের মামলায় একক বেঞ্চের রায় বহাল ডিভিশন বেঞ্চে, বড় ধাক্কা রাজ্য এবং কমিশনের
এদিকে এদিনই দুপুরে বর্ধমানের রায়নায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে বেধড়ক মার খেলেন কাইতি পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়না ২ ব্লকের তৃণমূল কিসান খেতমজুর সেলের সভাপতি শেখ সিরাজুল হককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ রায়না ২ ব্লক সভাপতি অসীম পাল এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অসীম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও সিরাজুলের স্ত্রী তনুজা বেগম তাঁর দিকেই আঙুল তুলেছেন। তনুজার অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করা হয়েছে।
তনুজা জানান, অদিন দুপুরে বইখালি গ্রামের বাড়ি থেকে তিনি এবং তাঁর স্বামী পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চারজন দুষ্কৃতী বাইক থামিয়ে তাঁদের নামিয়ে নেয়। তারপর সিরাজুলকে কিল, চড়, লাথি মারা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও নিগ্রহের শিকার হন।
প্রধান জানান, বুধবার ব্লক সভাপতি কাইতি গ্রামে বাইক মিছিলের আয়োজন করেন। সেই মিছিলে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই তাঁরা যাননি। এই আক্রোশেই ব্লক সভাপতির নির্দেশে তাঁদের উপর হামলা হয়েছে। মাধবডিহি থানায় তনুজা লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।