বাঁকুড়া: এবার বিরোধীদের জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল নেতার (TMC Leader)। সোমবার রাতে বাঁকুড়ার (Bankura) ধলডাঙা মোড়ে এক সভায় জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ বাউড়ি (Sandip Bauri) বলেন, বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা রাজ্যের বরাদ্দ টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করছেন। চিঠি দিচ্ছেন। এটা ভালো হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে এতে। এরপর মানুষই বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের জিভ টেনে ছিঁড়ে নেবে। পাল্টা হুমকি দিয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, কে কত বড় নেতা তা দেখে নেব। কে কার জিভ ছিঁড়বে, দেখা যাবে।
বাঁকুড়ায় কুকথা বলার ক্ষেত্রে শাসক-বিরোধী, দুই পক্ষের নেতারাই কম যান না। কখনও শাসকদলের নেতার মুখে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া কুকথা শোনা যায়। আবার কখনও বিরোধী বিজেপি নেতাদের মুখে শাসকদলের প্রতি কুকথার বন্যা বইতে দেখা যায়। দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য মনে করেন, এই ধরনের কুকথা পাঞ্চায়েত ভোটে হিংসায় মদত দিতে পারে। তাহলে নেতৃত্বরা এসব বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেন, এই প্রশ্নে অবশ্য নেতারা নীরব।
আরও পড়ুন:Sonarpur Incident | কলেজ পরিচালন সমিতি নিয়ে প্রাক্তন-বর্তমান বিধায়কের কোন্দল তুঙ্গে
সোমবার সন্ধ্যায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সমাবেশের জন্য প্রস্ততি সভার আয়োজন করা হয়েছিল, সেই সভাতেই সন্দীপ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা চিঠি দিয়ে টাকা না দেওয়ার আবেদন করেছেন। এঁরা জনগণের ভোটে জিতে জনগণের টাকা আটকে রাখতে বলছেন। তাঁদের চিঠি পেয়েই কেন্দ্র রাজ্যের বরাদ্দ আটকে রেখেছে। এঁরা পশ্চিমবঙ্গের কলঙ্ক, বাঁকুড়ার কলঙ্ক। কথায় কথায় তৃণমূলের বদনাম করেন। কথায় কথায় ইডি আর সিবিআই দেখান। এই অপকর্মের জবাব দেবে সধারণ মানুষ। আমাদের কিছু করতে হবে না সাধারণ মানুষ এঁদের জিভ টেনে ছিঁড়ে নেবে।
সভার পর অবশ্য যুব তৃণমূল নেতা তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন। তিনি বলেন, আমি উস্কানিমূলক কিছু বলিনি। যারা কেন্দ্রের কাছে বাংলাকে বঞ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়ার আবেদন করছেন, সাধারণ মানুষ তার জবাব দেবে। এটাই তো স্বাভাবিক।