শিলং: মেঘের কোলে ঘাসফুল ফুটবে বলে তৃণমূল জোর প্রচার করতে শুরু করেছে মেঘালয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) তিনি দিনের মেঘালয় (Meghalay) সফর শেষে বুধবারই কলকাতা ফিরেছেন। আগামী বছরের শুরুতে ওই পাহাড়ি রাজ্যে বিধানসভা ভোট (Assembly Vote)। তৃণমূল সেখানে সরকার গড়তে উদ্যোগী। গতকাল, মঙ্গলবারই তৃণমূল নেত্রী ১১ জন বিধায়ক এবং অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। তিনি কলকাতায় ফিরতে না ফিরতেই বুধবারই তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক বিধায়ক বিজেপিতে ভিড়লেন। একইসঙ্গে সেখানকার সরকারে থাকা ন্যাশনাল পিপলস পার্টির দুই বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দিলেন। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সফরের পর দলীয় বিধায়ক বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেখানে জোটসঙ্গী (Alliance) দলে নাম লেখাল সেই রাজ্যের শাসকদল এনপিপির দুই বিধায়ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের পর আচমকাই দিল্লিতে (Delhi) বিজেপি অনুষ্ঠান করে চার বিধায়ককে দলে যোগদান করাল।
ফলে মেঘালয়ে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হল। এতদিন কখনও অপারেশন লোটাস (OIperation Lotus) কখনও নরমে গরমে বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলছিল বিরোধীরা। এবার জোটসঙ্গীদের থেকে বিজেপিতে যোগদান করার প্রবণতার অভিযোগও উঠতে শুরু করল। এনপিপির ফার্লিন সাংমা (Ferlin Sangma) বেনেডিক মারক (Benedic Marak) ছাড়াও তৃণমূলের এইচএম শাংপ্লিয়াঙ (HM Shangpliang) এবং নির্দল স্যামুয়েল( Samuel Sangma) অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার (Hemant Bishwasarma) উপস্থিতিতে এদিন যোগ দেন। ফারলিন সাংমা, বেনেডিক মারক গত মাসেই অধ্যক্ষ (Speaker) মেটব্যাত লিংডোর কাছে পদত্যাগপত্র (Resignation Letter) পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Supreme Court: কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধের আবহে আরও পাঁচ বিচারপতির নাম সুপারিশ কলেজিয়ামের
উল্লেখ্য, অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়কে এর আগেও টার্গেট করেছিল তৃণমূল। জাতীয় দল হতে গেলে একাধিক রাজ্যে জনপ্রতিনিধিত্ব ও নির্দিষ্ট শতাংশ ভোট থাকা আবশ্যক। সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের এই প্রচেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।