কলকাতা: স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যুর সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে র্যাগিং বন্ধের দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মেন হোস্টেলের সামনে ব্যানার লাগাল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তনীরা। তাঁদের বক্তব্য সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা জেলে। দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য বিহীন চলছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, এমনটাই অভিযোগ আনে ছাত্রপরিষদের প্রাক্তনীরা। এছাড়াও আগামী কাল ১৪ অগস্ট এই ঘটনার প্রতিবাদ ঢাকুরিয়া ব্রিজের সামনে থেকে যাদবপুর ৮ বি মোর পর্যন্ত প্রতিবাদ সভার আয়োজন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যু মামলায় দীপশেখর এবং মনোতোষকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশে আদালতে
উল্লেখ্য,কাল বাদ পরশু সারা দেশ জুড়ে পালন হবে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। কলকতার রেডরোডে (Red Road) হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে হাজির হন নগরপাল বিনীত গোয়েল (Vinit Goyel)। রেডরোড পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যাদবপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, স্বপ্নদীপ কুণ্ডু মৃত্যু রহস্য দ্রুত সামনে আসবে। এই তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হবে বলেও জানিয়ে দিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল।
রবিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার এদিন বলেন, যাদবপুরের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারও আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌরভ চৌধুরী নাম এক প্রাক্তনীকে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চলছে। একজন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার সর্বক্ষণ তদন্ত প্রক্রিয়ার তদারকি করছেন। দ্রুত কিনারায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। অর্থাৎ ছাত্রমৃত্যুর রহস্যের জাল যে লালবাজার পর্যন্তই বিস্তৃত হয়েছে তা স্পষ্ট কমিশনারের কথায়। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তার ভিডিয়োগ্রাফিও নিখুঁতভাবে করা হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করতে পারব বলেই আশা করছি।
ধৃত পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষের গেস্ট হিসেবে হস্টেলের রুমে ছিলেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। তবে ঘটনার দিন সে অন্য রুমে চলে গিয়েছিল বলেই খবর। ইতিমধ্যেই মনোতোষের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাঁর ফোন স্বপ্নদ্বীপের কোনও ভিডিও আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। সেই সঙ্গে এই ঘটনার পিছনে আরও মানুষের হাত থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।