ত্রিপুরা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের বড় ধাক্কা। খোদ প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি সুবল ভৌমিককেই সরিয়ে দিল দল। সূত্রের খবর, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তা জানতে পেরেই আগেভাগে সুবলকে সভাপতি পদ থেকে অপসারিক করা হল। পদে থেকে দলবদল করলে খারাপ বার্তা যাবে, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে ত্রিপুরায় দলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি। তিনি জানান, দলের অন্য সব শাথা সংগঠনের সভাপতিরা যথারীতি কাজ চালিয়ে যাবেন। নতুন সভাপতি না হওয়া পর্যন্ত রাজীব এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব দলের দেখভাল করবেন।
এই নিয়ে সুবল নয়বার দলবদল করতে চলেছেন। বিজেপিতেই তৃতীয়বার যোগ দিচ্ছেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে সুবলকে রাজ্য তৃণমূলের আহ্বায়ক করা হয়েছিল। পরে তাঁকে রাজ্য সভাপতি করা হয়। তাঁর নেতৃত্বেই দল ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত এবং পুর ভোটে লড়াই করে। দুই ভোটেই ধরাশায়ী হয় তৃণমূল। যদিও দলের তরফে কুণাল ঘোষ, রাজীবরা তখন দাবি করেছিলেন, প্রথমবার ভোটে লড়াই করে তাদের ভোটপ্রাপ্তি বেশ ভালোই হয়েছে। গত কয়েক মাসে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর একাধিকবার বিজেপি হামলা করেছে বলে অভিযোগ। তখন প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছিল সুবলকে।
রাজীব জানান, সুবল রাজ্য তৃণমূলের আহ্বায়ক থাকাকালীনই দলের সংগঠন বেশ চাঙ্গা হয়। তা পর্যালোচনা করেই সুবলকে রাজ্য সভাপতি করা হয়। তাঁকে সামনে রেখেই দল পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোটে লড়াই করে। তিনি দলকে জানিয়েছিলেন, ভোটে ভালো ফল হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এসব নানা কারণে সুবলকে সরিয়ে দেওয়া হল।
রাজীব আরও জানান, দল এখন ত্রিপুরায় নতুন করে গড়ে উঠবে। নতুন পার্টি অফিস হয়েছে। দলকে চাঙ্গা করে তোলা হবে। গত এক বছরে এই রাজ্য থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বহু নেতা-নেত্রী বারবার ত্রিপুরায় গিয়েছেন। অভিষেক দাবি করেছেন, আগামী বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে। এর মধ্যেই খোদ রাজ্য সভাপতির অপসারণ ঘটল। এর আগে গোয়ায় কংগ্রেস এবং অন্য দল ছেড়ে যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার পুরনো দলে ফিরে গিয়েছেন।