ময়না: ময়নায় (Moyna) বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া (Bijaykrishna Bhuniya) খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুই। শনিবার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম নন্দন মন্ডল (Nandan Mondal) ও সুজয় মন্ডল (Sujay Mondal)। দুজনেরই বাড়ি বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Bakcha Grampanchayat) গোড়ামহল এলাকায়। একটি ইটভাটাতে লুকিয়ে ছিল দুই অভিযুক্ত। ধৃতদের আগামীকাল তমলুক জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হবে। ময়না থানায় মোট ৩৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। ২৪ নম্বরের নাম রয়েছে নন্দন মন্ডলের। এবং ১৭ নম্বরের নাম রয়েছে সুজয় মন্ডলের। দুজনেরই বাড়ি গোড়ামহল (Goramohol) এলাকায়।
ময়নায় বিজেপির নেতা খুনের (Moyna Incident) ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা মিলন ভৌমিককে। তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশে হেফাজতের (Police Custody) নির্দেশ দেন তাঁকে। তবে তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি ঘটনার সময় বাজার করছিলেন। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।
বিজেপি-র বুথ সভাপতিকে অপহরণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ময়না৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে ময়নায় পথ অবরোধ করে বিজেপি৷ শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ময়নায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়নি তৃণমূল৷ কারচুপি করে ভোটে জিতেছে তারা৷ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ময়না থেকে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দা৷ পঞ্চায়েতে নির্বাচনে জেতার পর থেকেই তৃণমূলের অত্যাচার বেড়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল এই ধরনের হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: King Charles Coronation | চার্লসের অভিষেকে আগ্রহই নেই ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতার
বিজেপির দাবি, সোমবার রাতে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে তাঁর স্ত্রীর সামনে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তারপর তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ির এলাকা থেকে কিছুটা দূরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে দলের কর্মীরা। মনে করা হচ্ছে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি অপহরণ করা হয় সঞ্জয় তাঁতি নামে আরও এক বিজেপি কর্মীকে। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।