ক্ষমতাচ্যুত করেও যে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁদের আক্রোশ মেটেনি তা দলের রাজ্য স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ-র কথায়, রাজনীতিতে সব সহ্য করতে পারি, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। আর এই বিষয়টি আমি আরও একবার স্পষ্ট করে দিতে চাই, সর্বশেষ বিধানসভা ভোটের আগে আমি কখনই উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাবই দিই নি। এটা নিয়েও মিথ্যা প্রচার চলছে।
শিব সেনা-র একটি গোষ্ঠীর নেতা উদ্ধব ঠাকরে কি এখনও অমিত শাহ-র প্রতিহিংসার শিকার হতে পারেন ? অন্তত সোমবার দলের মহারাষ্ট্র রাজ্য শাখার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ওই বৈঠকে শিবসেনার ভাঙনের জন্য সরাসরি উদ্ধব ঠাকরে-কে দায়ী করে অমিত শাহ বলেন, উদ্ধব ঠাকরে-র ক্ষমতা দখলের লোভ আসলে শিবসেনার ভাঙনের মূল কারণ। জোট সরকারের পতনের সময় তাঁর দলে ভাঙনের জন্য উদ্ধব ঠাকরে বারবার বিজেপি-কে দায়ী করেছিলেন। আর তিনটি বিজেপি শাসিত রাজ্য ঘুরে এসে দল ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া একনাথ শিন্ডের পাশে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ-র দাবি, গেরুয়া শিবির নয় শিবসেনায় ভাঙনের মূল কারণ উদ্ধব নিজেই।
এরপর আরও স্পষ্ট করে নিজেদের অবস্থান বোঝাতে অমিত শাহ বলেন, উদ্ধব ঠাকরে-কে উচিত শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। আর কিভাবে সেই প্রতিশোধ নেওয়া সম্ভব হবে তারও দিকনির্দেশ করে দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, মিশন-১৫০ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের আগামীদিনে এদিয়ে যেতে হবে। সামনে দেশের সব থেকে সম্পদশালী পুরসভা বৃহনমুম্বই পুরসভার নির্বাচন। খোলসা করে তার মিশন-১৫০-র ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অমিত শাহ-র ব্যাখ্যা, মোদীজির অভিভাবকত্বে বৃহনমুম্বই পুরসভার নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনার জোট যেন ১৫০টি আসন পাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। রাজনৈতিক মহল বলছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্র্রীর উচিত শিক্ষার মোদ্দা বিষয়টি হল যে কোনও উপায়ে বৃহনমুম্বই পুরসভার নির্বাচনে জয়। যে লড়াইয়ে দুপক্ষের সমানে টক্কর দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।