ফের উত্তপ্ত শহরের রাজপথ। বুধবার কালীঘাট মেট্রো স্টেশন লাগোয়া রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান আপার প্রাইমারির (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। শেষে চ্যাংদোলা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বিক্ষোভকারীদের।
বুধবার কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের (Job Aspirants) বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি ছিল। তবে চাকরিপ্রার্থীরা আগেভাগেই খবর পেয়ে যান, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। আর সে খবর আসার পরে চাকরিপ্রার্থীরা মেট্রো স্টেশনের অন্য গেটে জড়ো হতে থাকেন। শেষে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য রাস্তায় বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশও সেখানে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলা হয়। এরপরেই পুলিশ ও চাকরিপ্রার্থীরা একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে পুলিশ সূত্রের দাবি, এই বিক্ষোভের খবর তাদের কাছে ছিলই না। আন্দোলনকারীরা কালীঘাট ও যতীন দাস পার্ক মেট্রো (Kalighat Metro Station) স্টেশন থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। যার জেরে ধুন্ধুমার শুরু হয়ে যায় কালীঘাট চত্বরে। বুধবার সকালে চাকরিপ্রার্থীরা আচমকা কালীঘাটে মেট্রো স্টেশনের কাছে বসে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থালে আসে পুলিশ। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।
পরে পুলিশ কর্মীরা (Kolkata Police) আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে গেলে তাঁরা শুয়ে পড়েন। জোর করে পুলিশ কর্মীরা কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তোলেন। তবে শুধু প্রিজন ভ্যান নয়, বেসরকারি বাস, এমনকী ট্যাক্সিতেও বিক্ষোভকারীদের তুলতে দেখা যায় পুলিশকে। এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছে। নিয়োগ চাই, নিয়োগ চাই স্লোগান তুলতে থাকেন চারকিপ্রার্থীরা। কেউ আবার স্লোগান দেন, হয় চাকরি দিন, না হলে আমাদের বুলেট দিন।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে বারবার সরব হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। ২০১৪ সালের ওই পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন কেন তাঁদের ৮ বছর নষ্ট করা হল তার জবাব দিক রাজ্য সরকার।
 চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। শেষে চ্যাংদোলা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বিক্ষোভকারীদের।){kind=link}