কলকাতা: রাজ্যের জন্য সুখবর। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ১৬০০ কোটি টাকা পেতে চলেছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক (Ministry Of Rural Development)থেকে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য এই টাকা দেওয়া হবে। (West Bengal Department Of Panchayat And Rurarl Development)। এই টাকা গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পানীয় জল এবং নিকাশির কাজে ব্যবহার কার হবে। জেলায় জেলায় নতুন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই এই টাকা এসে গেলে পঞ্চায়েত স্তরে অনেক কাজ করা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
রাজ্যের শাসকদল অনেক দিন ধরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব। প্রায় দু বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় রাজ্যে প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে রাজ্য সরকারের অভিযোগ। এই বাবদ প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, এমন টাই দাবি শাসকদলের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শাসকদের একাধিক নেতা মন্ত্রী বারবার এই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বরাদ্দ টাকা ছাড়ার জন্য একাধিক বার প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও জবাব আসেনি। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। একই ইস্যুতে ৬ অগাস্ট ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে শাসকদল।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে বৈঠক পুরসভার, হাজির রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সহ একাধিক স্বাস্থ্য কর্তা
মমতা সহ তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ বিজেপির কিছু রাজ্য নেতা রাজ্যের ভালো চান না বলেই টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে আবদার করেছেন। বিজেপি অবশ্য সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমরা টাকা আটকানোর কথা বলিনি। কেন্দ্রের কাছে পঞ্চায়েতে চুরি এবং দুর্নীতি আটকানো দাবি জানিয়েছি। এখনও আমরা একই দাবি জানাচ্ছি। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে চিঠিও দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ ছিল, কোটি কোটি ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি ক্যাগ-কে দিয়ে তদন্তের আর্জিও জানান শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। তাঁর দাবি, দুর্নীতি হয়েছে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনাতে, মিডে মিল নিয়ে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল সরকার। তবে এসবের মধ্যেও পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে কেন্দ্রের কাছ থেকে কর বাবদ আদায় টাকার একাংশ পেয়েছিল রাজ্য। এবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের মধ্যে আরও ১৬০০ কোটি টাকা পাওয়ার ঘোষণা।