কলকাতা: বুধবারই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর (Weather Department) যে, রাজ্য জুড়ে শুরু হবে বৃষ্টি (Rainfall Forecast)। সেইমতো বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঝড়-বৃষ্টির দাপট দেখল রাজ্যবাসী। আগামী সোমবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি (Rainfall Forecast) চলবে রাজ্যে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের ১০ থেকে ১১টি জেলায়। শনিবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ (Thunderstorm) সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝেড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের (Rainfall) পূর্বভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতায় দিনভর মেঘলা (Cloudy) আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির (Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও মেঘলা (Cloudy) আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা (Temperature) স্বাভাবিকের থেকে ৮ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৩ থেকে ৯২ শতাংশ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: Bengal Man Won Lottery | Kerala | কেরলে ৭৫ লক্ষ টাকার লটারি জিতল বাঙালি শ্রমিক
দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর এই ছয় জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আলিপুর। উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather)মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার এই পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ঝড়বৃষ্টির প্রভাব বজায় থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি এবং ঝোড়ো হওয়ার কারণে উত্তরবঙ্গের চা বাগান এবং উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আমবাগানের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দফতর। আলু চাষীদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে। এছাড়াও সবজি চাষেও ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান ও কচ্ছ সংলগ্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এই একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থান করেছে। অক্ষরেখাটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে গিয়েছে। এই অক্ষরেখার প্রভাবেই প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে সাগর থেকে।