কলকাতা: দত্তপুকুরের (Duttapukur) নীলগঞ্জে বাজি কারখানায় (Fire Cracker Factory) বিস্ফোরণের দায় কার? তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলাদলি। বিরোধীদের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসন ও শাসকদলের মদতে বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল। তবে শাসকদলের বিধায়ক রথীন ঘোষ অভিযোগ তুলেছেন, এই ঘটনার পিছনে আইএসএফের হাত রয়েছে। আইএসএফের (ISF) মদতে সেখানে বাজি কারখানা চলছিল। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে।
রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh) বলেন, শুনেছি রমজান আলি ওরফে কালো নামে একজন ওখানে বাজি কারখানা চালু করেছিল। শ্রমিকরা তার বাড়ির উল্টোদিকে একটি বাড়িতে সকালে যখন খাওয়া দাওয়া করছিল তখন বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন সচেতন হলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলের যোগসাজশে এই সব কারখানা চলে। একাধিক জায়গায় বিস্ফোরক মজুত রাখা হয়েছিল। উল্লেখ্য, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে বাজি কারখানাটি চলছিল।
আরও পড়ুন: বোর্ডে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখায় বেদম মার স্কুলছাত্রকে
এর আগে গত ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ৯ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটেনি। তারই মধ্যে বজবজের একটি বাড়িতে বাজি বিস্ফোরণ হয়েছিল। নড়চড়ে বসেছিল প্রশাসন। সেই ঘটনার সাড়ে তিন মাস না কাটতেই আবারও বিস্ফোরণে কাঁপল বাংলা। ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এগরা ও বজবজে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই বেআইনি বাজি উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরেও পুলিশের অভিযানে মেলে অন্তত ২০০ কুইন্টাল বাজি। তারপরও এদিনের এই চিত্র।