কপোতাসন (Pigeon pose)
ক্লান্ত মাংশপেশিকে পুষ্টি ও শক্তি জোগানো, শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখা ও ক্লান্তি দূর করে মন কে শান্ত করতে দারুণ কার্যকরী এই যোগাসন। বিশেষ করে কোমরের নীচের অংশে ব্যথা কম করতে এই যোগাসন বেশ উপকারী। এই যোগাসনে যেহেতু কোমরের ওপর জোর বেশি পড়ে তাই এটা কোমরের মাংশপেশি ও হাড় শক্ত করতে বেশ কার্যকরী। পাশাপাশি শরীরকে সক্রিয় রাখতেও এই যোগাসন ভীষণ কার্যকরী। তবে যোগাসন করার সময় এটাও মাথায় রাখতে হবে যে কোথাও যেন কোনও ত্রুটি না থাকে তা হলে ফল হবে উল্টো। এমনকি মাংশপেশিতে স্ট্রেইন বা আঘাতও লাগতে পারে।
নানা রকমের কপোতাসন রয়েছে তবে এগুলির মধ্যে এই তিন ধরণের কপোতাসন বেশি করা হয়। এই তিন ধরণের কপোতাসনের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই স্ট্রেচিং বা শরীরকে প্রসারিত করার মাত্রা আলাদা আলাদা। বলা বাহুল্য এটি আরেকটির থেকে কঠিন। এই কপোতাসন করার সময় যাতে মাংশপেশিতে বেখাপ্পা টান না লাগে তার জন্য কপোতাসনের আগে ক্যাট-কাউ পোজ বা চাইল্ড পোজ করে নিলে সুবিধে হবে।
- ক্লাসিক পিজন পোজ
- রেস্টিং পিজন পোজ
- কিঙ্গ পিজম পোজ
ধাপে ধাপে কীভাবে করবেন দেখে নিন-
- এই আসন করার জন্য প্রথমে হাঁটু দুটো মেঝেতে রাখুন ও মেরুদণ্ড একেবারের টানটান করে নিন।
- এবার আসতে আসতে ডান পা পিছনের দিকে নিয়ে গিয়ে ছড়িয়ে দিন। বাঁ হাঁটু ও পা ডানদিকের কোমরের হারের সঙ্গে একেবার সেটে না যাওয়া পর্যন্ত এই ডান পা ছড়াতে থাকুন। পায়ের আঙুল টান টান রাখুন।
- এই ভঙ্গিতে থেকেই সামনের দিকে ঝুঁকে জোরে নিশ্বাস নিন।
- নিশ্বাস যেন ফুসফুসের একেবারে গভীরে যায় এর ফলে বুক সামনের দিকে বেড়িয়ে আসবে। এই অবস্থায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত থাকুন।
- পঁচিশ মিনিট পর এবার ডান পায়ের বদলে বা পা দিয়ে এই যোগাসন আবার করুন।
- যোগাসন শেষ করে পদ্মাসনে বসে বিশ্রাম নিয়ে আবার দু’টো পা দিয়ে চার বার এই যোগাসনটি করুন।