ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সমতলে বৃষ্টিতে হলেও সেই স্বস্তি সাময়িক রোদের জেতে জীবন নাজেহাল। গরম থেকে রেহাই পেতে অনেকেই এখন পাহাড়মুখী। ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং-এ (Darjeeling) এড়িয়ে অনেকেই চাইছেন একটু নির্জনে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দিতে। সেক্ষেত্রে আপনি এবার ঘুরে আসতে পারেন বিজনবাড়ি থেকে। একেবারে অপরূপ এই পাহাড়ি গ্রাম।একদিকে ঘন সবুজ অরণ্য। অন্যদিক দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতা রঙ্গিত। তার মাঝে গড়ে উঠেছে বিজনবাড়ি (Bijanbari)। প্রকৃতি যেন নিজের সবটুকু সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে এখানে।
একেবারে নির্জন নিরিবিলিতে যদি আপনি দিন দুয়েক কাটাতে চান তবে বিজনবাড়ি একেবারে আদর্শ জায়গা। একাধিক হোম স্টেও রযেছে। পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে ছোট্ট পাহাড়ি ঝোরা। তারপাশেই থাকার ব্যবস্থা। সেই পাহাড়ি ঝোরার পাথরের উপর বসে থাকতে পারেন দিনভর। চারপাশে পাহাড়ের সারি। পাতা পড়ার আওয়াজও শুনতে পাবেন আপনি।
এখানে এলে দেখবেন চারপাশে পাহাড়, ঝিঁঝি পোকার ডাক, ঝরনার শব্দ, নাম না জানা পাখির ডাক সব মিলে মিশে যেন অন্যরকম ব্যাপার। দেখতে পাবেন খরস্রোতা রঙ্গিতের বয়ে চলা। উচ্চতা ২,৫০০ ফিট হলেও এখানের আবহাওয়া বেশ মনোরম। পাহাড়ি পথে হারিয়ে যেতে চাইলে বিজনবাড়ি হল সেরা ঠিকানা। দার্জিলিং, ঘুম, কার্শিয়াং সব জায়গা দিয়েই আপনি বিজনবাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন। দার্জিলিংয়ের পূর্বে অবস্থিত এই বিজনবাড়িতে মূলত নেপালী মানুষের বাস। ঘুম থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটারের পথ এই পাহাড়ি গ্রাম। ঘুম পার করেই দেখা মিলবে সবুজে মোড়া চা বাগানের। ইচ্ছা হলে মেরিবং, রিশিহাট, চংটং-এর মতো চা বাগানেও কিছু সময় কাটাতে পারেন।
এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এখানে বেশ ভালো লাগবে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্তও অনেকে ঝেপি বেড়াতে যান।বিজনবাড়ির সঙ্গে ঘুরে নিতে পারেন মেগাটার, শ্রীখোলা, লোধোমা, রিম্বিক। এমনকী ঝেপি থেকে একদিনের মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন সামালবং, রেলিং, জওহর পর্বতে গ্রামগুলো।