এই প্রচণ্ডে গরমে ঠাণ্ডা কিছু তা খাবার জল হোক কিংবা ঠাণ্ডা পানীয়, আইস্ক্রিম, কাস্টার্ড কিংবা রায়তা খাবার হাতছানি এড়ানো বেশ কঠিন। বাড়ির বড়রা এই ইচ্ছেটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেও বাড়ির ছোটদের ফ্রিজ থেকে বার করে আইস্ক্রিম, কোল্ডড্রিঙ্কস বা জুস খাওয়া থেকে আটকানো বেশ কঠিন। কোনও এক সময় চোখের আড়ালে ফ্রিজ থেকে বার কের বাড়ির অজান্তে খেয়ে ফেলবে তা বলা মুশকিল। আর এই ঠাণ্ডা-গরমে কারও জ্বর, কারণ গলা ব্যথা আবার কারও দাঁতের সমস্যা হতে বাধ্য। এই সব সমস্যার চটজলদি প্রতিকার না হলে বলা বাহুল্য আরও খারাপ হয় পরিস্থিতি। তাই আচমকা দাঁত ব্যথা কীভাবে নিরাপদ প্রাকৃতিক উপায়ে কমানো যায় তার জন্য রইল বেশ কিছু টিপস।
- দাঁতের ব্যথার অব্যর্থ ওষুধ লবঙ্গ তেল। এই লবঙ্গ তেলের সঙ্গে এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় রাখলে আসতে আসতে ব্যথা কমবে এবং আরাম হবে।
- দাঁতের ব্যথার আরও একটি প্রাকৃতিক উপায় হল সর্ষের তেল। সর্ষের তেলের সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে ব্যথা জায়গায় মালিশ করলে ব্যথার উপশম হবে।
- দাঁত ব্যথা কমাতে পারে পাতিলেবর রস।
- মাড়ি বা দাঁতের ব্যথা কম করতে পারে এক টুকরো পেঁয়াজ। টাটকা পেঁয়াজের টুকরো ব্যথা দাঁতের কাছে রাখলে তা অনেকটাই কমে।
- দাঁতের ব্যথা কমাতে ক্যালেন্ডুলা, মাইরহ এবং ঋষির মতো ভেষজ ব্যবহার করে ঘরেই মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এটা দিয়ে মুখ ধুলে দাঁতের ব্যথা অনেকটা কমে যায়।আবার অন্যান্য ভেষজ যেমন তুলসী, মারজোরাম ও হিং ব্যবহার করতে পারেন।
আচমকা দাঁত ব্যথা হলে খুব গরম, খুব ঠাণ্ডা ও মিষ্টি খাবার খাওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারণ এগুলির যে কোনও একটি করলেই ব্যথা আরও বাড়বে।
নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিলে অনেক ক্ষেত্রেই এই আচমকা দাঁতে ব্যথার হাত থেকে বাঁচা যায়। এর জন্য নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্রাশিংয়ের এই বেসিক ব্যাপারগুলো মেনে চলুন।
দিনে অন্তত দু’বার ব্রাশ করুণ
- ব্রাশ করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। সময় নিয়ে ভাল করে প্রত্যেকটা দাঁত মাজুন।
- সঠিক টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট বাছুন ও নরম ব্রিস্লেসের ব্রাশ ব্যবহার করুন।
- নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
- প্রতি তিন থেকে চার মাস অন্তর ব্রাশ বদল করুণ কিংবা ব্রিস্লেস নষ্ট হয়ে গেলেই বদলে ফেলুন।
(ছবি সৌ: Unsplash)