হুগলি: জাঙ্গিপাড়ার ( Hooghly Jangipara) আঁটপুরের আনরবাটী (Antpur Anarbati Kali Puja) গ্রামে বড় কালীর পুজো। চতুর্দশী তিথিতে শুরু হয় রক্ষাকালীর পুজো। ওই তিথিতেই পুজো শেষ করে সূর্যোদয়ের আগেই বিসর্জন হয় মায়ের। বড় কালীকে ঘিরে কাহিনির শেষ নেই। পুজোর বয়স আড়াইশো বছরেরও বেশি। পুরনো পুজোর বেদি এখনও মাটিরই রয়েছে। পঞ্চমুণ্ডীর আসন দেবীর পুজো হয়। নীল রঙের দুই হাতের রক্ষাকালী মূর্তি বিরাজ করে মন্দিরে। প্রতিমার উচ্চতা ১৫ ফুট। এখনও এই মন্দিরে বলিদানের চল রয়েছে।
এই গ্রামে কোনও শ্যামা কালীর পুজো হয় না। মূল পুজো হয় গ্রামের বড়মার। কথিত আছে, গ্রামে একবার মহামারী হয়েছিল। তখন সব্বাই গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করে। দাহ করার পর্যন্ত লোক মিলছিল না গ্রামে। জনৈক এক গ্রামবাসী হরিপ্রবোধ মিত্র তাঁর ঠাকুরমাকে নিয়ে গ্রাম থেকে চলে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় এক মহিলার সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। মহিলা বলেন, গ্রাম ছেড়ে যেতে হবে না। তিনিই শবদাহের মাঠে পুজো শুরুর পরামর্শ দেন। পুজো শুরুর পর মহামারী থামে।
আরও পড়ুন: শালপাতার আচ্ছাদনে হয়ে আসছে মায়ের পুজো
গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায়, সরকার, বিশ্বাস, দত্ত, দে-সহ কয়েকটি পরিবার মিলে পুজো শুরু করে। মিত্র বাড়ি হয় পুজোর সেবায়েত। বন্দ্যোপাধ্যায়রা পৌরহিত্যের দায়িত্ব নেই। কালীর নির্দেশ মেনে আজও মণ্ডপে তালপাতা ব্যবহার করা হয়। পাকা মন্দির করার নির্দেশ নেই। দেবীকে চিনির সন্দেশ দেওয়ার রীতি রয়েছে। অসুস্থ থেকে সন্তানহীনা সকলেই মায়ের আশীর্বাদ নিতে আসেন মন্দিরে। কালীপুজোর আগের দিন লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়।
আরও অন্য খবর দেখুন
