কালিয়াগঞ্জ: বন্ধ হয়ে যাওয়া জমিদার আমলের পুজো (Durga Puja) ফের হচ্ছে। পাড়ার এক গৃহবধূ ভর হওয়ার সময় মায়ের আদেশ পান। তারপর প্রায় ৪০০ বছরের বেশি পুরনো পুজো ফের শুরু হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) থানা পাড়ায় (Thana Para)। থানা পাড়ার পুরনো এই মন্দির তৈরি করেছিলেন চিত্তরঞ্জন দাসের পূর্বপুরুষেরা। চুন সুরকি দিয়ে তৈরি মন্দিরের দেওয়ালে মন্দির স্থাপনের ইতিবৃত্ত লেখা থাকলেও আজ পর্যন্ত কেউ তা বুঝে উঠতে সক্ষম হননি । আগে এই মন্দিরের দুর্গা পুজার সময় মা চণ্ডীর রুপে দুর্গা আরাধনায় মেতে উঠতেন কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষ। ভোগ বিতরণ সহ পাঁঠাবলি ও বিশাল মেলার আয়োজন দেখতে দূরদূরান্ত থেকে গরুর গাড়ি করে এখানে প্রচুর মানুষ আসতেন । সময়ের পট পরিবর্তনে সবই অতীত।
এখানকার দুর্গার বিশেষত হচ্ছে এক চালার দেবীর মূর্তি। গণেশ ও কার্তিক ডানের জায়গায় বাঁয়ে রয়েছে। চুন সুরকির তৈরি চার চালার মন্দিরের গাঁ ঘেঁষে বর্তমানে গজিয়ে ওঠা পাকুড় গাছের শিকড়ে মন্দিরের জরাজীর্ণ অবস্থা। লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্দিরের চারিদিকে গজিয়ে উঠেছে প্রচুর জনবসতি। বেশ কয়েক বছর ধরে মন্দির চত্বরে এলাকার মানুষ ফেলতে শুরু করেছিল তাঁদের বাড়ির বর্জ্য পদার্থ। আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ক্ষুধা সূচক প্রত্যাখ্যান করল ভারত
মন্দিরের পাশের বাড়ির গৃহবধূ স্বপ্নাদেশ পায়। আবর্জনা পরিষ্কার করে মা চন্ডীর পুজো করার নির্দেশ দেয়। তারপর ২০১৬ সাল থেকে দেবী দুর্গার পুজো ঢাক ঢোল বাজিয়ে ধুমধামের সঙ্গে মা চণ্ডীর দূর্গার আরাধনায় মাতেন কালিয়াগঞ্জের থানা পাড়ার বাসিন্দারা। এই পুজো চিত্তরঞ্জন দাসের পূর্বপুরুষদের পুজো হলেও এখন বারোয়ারি পুজোয় পরিণত হয়েছে। তাই এবারের দুর্গা পুজোয় কোনও খামতি রাখতে চান না থানা পড়ার বাসিন্দারা। চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। এমনই জানান দাস পরিবারের বংশধর চিত্তরঞ্জন দাস।
আরও খবর দেখুন