আলিপুরদুয়ার: উমার পাড়ি দিয়ে কৈলাশে এবার ঘর আলো করে প্রবেশ করেছেন দেবী লক্ষ্মী (Goddess Lakshmi)। আশ্বিনের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে যে লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়, তাকে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Kojagari Lakshmi Puja 2023)। কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জের সাহা বাড়ির (Saha house in Hamiltonganj Kalchini block) লক্ষ্মীপুজো (Saha house Lakshmi Puja) শতবর্ষ পার করেছে। এই সাহা বাড়ির লক্ষীপুজোয় একসময় সাত দিন ধরে চলতো কবিগান, পালা গান। এখন সেই কবি গানের আসর না থাকলেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও সাতদিন ব্যাপী চলে এই পুজো। শতবর্ষ পূর্বে বাংলাদেশের ঢাকায় সূচনা হয়েছিল এই পুজোর, দেশ ভাগের পর সেই ধারা বজায় রেখে হ্যামিল্টনগঞ্জের শ্যামা প্রসাদ কলোনির সাহা বাড়িতে প্রতিবছর আয়জন করা হয় এই লক্ষ্মীপুজোর। পুরোনো রীতি মেনেই এখনও লক্ষ্মীপুজো করা হয়।
লক্ষ্মী প্রতিমার পরনে থাকে সোনার গহনা ও অলংকার। এছাড়া পুজোয় ব্যবহৃত পদ্ম ফুল থেকে শুরু করে ধানের শীষ সব কিছুই সোনার। এছাড়া ৫০ রকমের খাদ্য সামগ্রী প্রসাদ হিসেবেও দেওয়া হয়। এই সাহা বাড়ির প্রতিমা ১১ ফুট লম্বা হয়। ষাটের দশকে এই লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে আরতি প্রতিযোগিতার আয়জনও করা হত, আর বিজয়ীদের দেওয়া হত সোনার পদক। এখন আরুতি প্রতিযোগিতা হয় যদিও এখন সোনার পদক পুরষ্কার দেওয়া হয় না। এই পুজোকে ঘিরে পূর্বে উৎসবের আমেজ থাকতো হ্যামিল্টনগঞ্জে। এলাকার প্রায় সকলেই মিলিত হয়ে উদযাপন করতেন এই পুজোর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগের জৌলুশ কিছুটা কমলেও, এখনও একই উদ্দীপনার সঙ্গে পুরনো রীতি মেনেই সাহা বাড়িতে আয়োজন করা হয় এই লক্ষ্মীপুজোর।
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় শীতের আগমনী বার্তা
বাড়ির সদস্য নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশের ঢাকায় আমার আমার দাদু হরচন্দ্র সাহার হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়।এরপর দেশভাগের পর এখানে আমার বাবা,এখন আমি ও আমার ছেলেরা বংশানুক্রমে এই পুজোর আয়জন করে চলেছে। হ্যামিল্টণগঞ্জে ৮৫ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। আশপাশের সকল জেলা থেকে আমাদের আত্মীয়রা উপস্থিত হয় এই পুজোর দিনে। সকলে মিলে একসঙ্গে আমরা পুজো উদযাপন করি।’
আরও অন্য খবর দেখুন