চলাফেরার হার কমে যাওয়া ও স্ট্রেসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগীদের জন্য শীতকাল যথেষ্ট ভয়ঙ্কর। সব মিলিয়ে সুগার বিপদসীমার আশেপাশে থাকে রোগীদের। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। শরীর যখন নিজে থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা তৈরি হওয়া ইনসুলিন দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে পারে না, তাকেই ডায়াবেটিস বলা হয়। এর ফলে রক্তে শর্করার বা গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। ইনসুলিন মানুষের শরীরের কোষগুলি তে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রন করে। এর দ্বারা আমাদের খাবার থেকে যে চিনি বা গ্লুকোজ পাওয়া যায়, তা রক্তের মধ্য দিয়ে বাহিত হয়ে কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। তারপর, কোষ শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে। অগ্ন্যাশয়ের বিশেষ কোষ দ্বারা তৈরি হরমোন আইলেটস থেকে ইনসুলিন তৈরি হয়। ডায়াবেটিস জনিত ইনসুলিনের তারতম্যের জন্য আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রার তারতম্য ঘটে। শরীরে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন, অঙ্গ বাদ গেলেও ব্যথা হবে না, বিশেষ চিকিৎসার খোঁজ দিলেন বিজ্ঞানীরা
ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
তীব্র তৃষ্ণা ও প্রচণ্ড ক্ষুধা অনুভব হবে। অতিরিক্ত প্রস্রাবের প্রবণতা বাড়বে। শরীরের ওজন কমে যাবে। দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব হবে। অকারণেই বিরক্তি অনুভব হবে। পেটে ব্যথা ও সাথে বমি বমি ভাব থাকবে। অপ্রীতিকর গন্ধ ও দৃষ্টি অনেকটা ঝাপসা লাগবে। মাথা ঘোরা ও মাথা ব্যাথা হবে। চুলকানিও হতে পারে।
কী করা উচিত?
রোজ কম ক্যালোরি রয়েছে এমন খাবারই বেছে নিন। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে সুগার (Diabetes) নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। মাঝে মাঝে খিদে পেলে বাদামজাতীয় খাবার খেতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে সুগার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। সুগার ম্যানেজ করতে হাঁটাচলা খুব কার্যকরী। নিয়মিত সুগার লেভেল চেক করতে হবে। দিনের বেশিরভাগ সময় অন্তত ১৭ ঘন্টা সুগার লেভেল ৭০ থেকে ১৮০ মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোনো বিশেষ জরুরি। কাঁচা লবণ, বেশি ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার, অতিরিক্ত চা বা কফি পান, দুগ্ধজাত খাবার, ভাত, আলু, কলা এবং গাজর এই খাবারগুলি বন্ধ করতে হবে। সুগার নিয়ন্ত্রণে ঘুম অনেকটা সাহায্য করে। আপেল, অ্যাভোকাডো, পেঁপে, বেরি জাতীয় ফল, কামরাঙা, নাশপাতি, কমলা এই ফলগুলি খেতে হবে।
আরও অন্য খবর দেখুন