শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দি শাহ, জাভেদ আখতাররা আসলে টুকরে টুকরে গ্যাং –এর স্লিপার সেল সদস্য। অভিযোগ মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রর। তাঁর বক্তব্যের পক্ষে মন্ত্রী মশায়ের যুক্তি, রাজস্থানের উদয়পুরে কানাহাইয়ালাল-এর হত্যা বা ঝাড়খণ্ডে এক মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া নেই শাবানাদের। আর সেজন্যই জাভেদ-নাসিরুদ্দিনদের মৌনতাই বুঝিয়ে দেয় তাঁরা টুকরে টুকরে গ্যাং –এর সঙ্গে যুক্ত। বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণে পি চিদম্বরম।
ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিন তারকাও বাদ গেলেন না গেরুয়া শিবিরের আক্রমণ থেকে। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভূপালে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা নরোত্তম মিশ্র জানিয়ে দেন, শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দি শাহ, জাভেদ আখতাররা আসলে টুকরে টুকরে গ্যাং –এর স্লিপার সেল সদস্য। কিভাবে এহেন আশ্চর্য্য তথ্য খুঁজে পেলেন, মন্ত্রী মশায়? নরোত্তম মিশ্রের দাবি, রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা পেশায় দর্জি কানহাইয়ালালকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল। অথচ কোনও প্রতিক্রিয়া দিলেন না শাবানা-জাভেদরা। আবার ঝাড়খণ্ডে এক মহিলাকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করার পরেও মুখে কুলুপ নাসিরুদ্দিনদের। আর এই মৌনতাই আসলে বুঝিয়ে দেয় তাঁরা টুকরে টুকরে গ্যাং –এর সঙ্গে যুক্ত।
শাবানা-জাভেদদের এভাবে কাঠগড়ায় তোলায় পাল্টা আক্রমণে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর কথায়, শুধু এই তিনজনকে কেন তাঁকেও টুকরেটুকরে গ্যাং-এর স্লিপার সেল-এর সদস্য হিসাবে ধরা হোক। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এই বর্ষীয়ান সদস্যের দাবি, সংসদের মধ্যে তিনি তো নিজেই বলেছিলেন যে তাঁকেও তথাকথিত টুকরে টুকরে গ্যাং-এর অন্যতম একজন হিসাবেই ধরে নেওয়া হোক। আর এই প্রসঙ্গে নরোত্তম মিশ্রকে কটাক্ষ করে চিদম্বরমের মন্তব্য, ওনাকে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হোক। কারণ নরোত্তম মিশ্রের কাছে যে তথ্য আছে তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও নেই।