শিক্ষিকার সন্দেহ ছিল, নবম শ্রেণির ছাত্রীটির পোশাকের আড়ালে নকল করার কাগজ রয়েছে। তার জন্য শিক্ষিকা তাকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে জোর করে সমস্ত পোশাক খুলিয়ে তল্লাশি চালান। সেই অপমানে বাড়ি ফিরে কিশোরীটি গায়ে আগুন লাগায়। প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় সেই ছাত্রী এখন হাসপাতালে লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। পরিবার ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে জামশেদপুরের ঝাড়খণ্ডের একটি মেয়েদের স্কুলে। ১৪ বছর বয়সি ওই ছাত্রীটি পুলিশকে জানিয়েছে, মহিলা ইনভিজিলেটর পরীক্ষা চলাকালীন তাকে ধরেন। তাঁর সন্দেহ হয়, ওর পোশাকের আড়ালে নকল করার কাগজ রয়েছে। সে বারবার অস্বীকার করে, এমন কোনও কাগজ তার কাছে নেই। তবু তাকে হেনস্তা করা হয়। এরপর তাকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে পোশাক খুলিয়ে শরীরে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ জানায়, ছাত্রীটির কাছে আপত্তিকর কোনও কাগজপত্রই পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Global Hunger Index 2022: বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সূচকে আরও পিছল ভারত
ছাত্রীর মা জানান, বাড়িতে ফিরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বারবার কাঁদছিল। পরে চাপের মুখে সে গোটা ঘটনাটি জানায়। অপমানে গায়ে আগুন দিয়ে মেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ছাত্রীটির শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। স্থানীয়রা ওই শিক্ষিকাকে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানান। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।