হিমাচল প্রদেশ: আজ শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গিয়েছে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। ছোট্ট এই পাহাড়ি রাজ্যের আসন সংখ্যা মাত্র ৬৮। তাই একদফাতেই সম্পূর্ণ হবে নির্বাচনী যজ্ঞ। ফল প্রকাশিত হবে ৮ ডিসেম্বর। প্রতি নির্বাচনে সরকার বদল হওয়া এই রাজ্যের প্রথা। বিজেপির (BJP) চ্যালেঞ্জ সেই প্রথা ভেঙে টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করা। তবে তাদের পথের কাঁটা শুধু কংগ্রেস নয় (Congress), দলের একাধিক নেতা টিকিট না পেয়ে এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ফোন করেও তাঁদের নিরস্ত করতে পারেননি।
প্রথা ভাঙতে বিজেপি বরাবরের মতো মোদিকেই মুখ করেছে, সেই সঙ্গে তুলে ধরা হচ্ছে জয়রাম ঠাকুরকেও। একই সরকার টানা ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নে সুবিধা হয়, ভোটের প্রচারে এই তত্ত্ব বারবার খাড়া করেছে গেরুয়া শিবির। ডবল ইঞ্জিন সরকার (কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই দলের সরকার) হলে উন্নয়নে কোনও ব্যাঘাত হয় না বলেও প্রচার করেছে তারা। উদাহরণ হিসেবে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) মডেল পেশ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Bharat Jodo Yatra: রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রায় আদিত্য, পথের দু’ধারে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস
উল্টোদিকে অন্য রাজ্য নয়, নিজেদের স্থানীয় ইস্যুর কথা মাথায় রেখে জনতাকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে কংগ্রেস। প্রথামতো ফের অন্য দলের সরকার নির্বাচিত হোক, এই আশায় তারা। তবে বর্ষীয়ান নেতা বিদর্ভ সিংয়ের মৃত্যুর পর থেকে পাহাড়ি রাজ্যে নেতৃত্বের সমস্যায় ভুগছে কংগ্রেস। দল অবশ্য বলছে, এবার আসন-ভিত্তিক প্রার্থী বাছাই একদম যথাযথ হয়েছে। বিদর্ভ সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিং দলের রাজ্য ইউনিটের প্রধান। ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং প্রার্থীদের মধ্যে একজন।
হিন্দুত্ববাদের ঝান্ডা ওড়াতে হিমাচলে প্রচারে এসেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। অন্যদিকে কংগ্রেসের হয়ে জনসভা করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। এ রাজ্যের নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে আম আদমি পার্টিও (AAP), তবে স্পষ্টতই হিমাচল নয়, তাদের পাখির চোখ গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। প্রসঙ্গত, এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭৮৮৪টি বুথে চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব।