যদি দেশে মোদির মতো শক্তিশালী নেতা না থাকে, তাহলে প্রতিটি শহরের ঘরে ঘরে আফতাব তৈরি হবে। শনিবার গুজরাতের কচ্ছতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ২০২৪ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নরেন্দ্র মোদিই তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
নির্বাচনী প্রচারে অযাচিতভাবে শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মামলার প্রসঙ্গ টেনে এনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আফতাব মুম্বই থেকে শ্রদ্ধাকে নিয়ে গিয়ে লাভ জিহাদের নামে ৩৫ টুকরো করে। আর সেই টুকরোগুলি নিজের ঘরের ফ্রিজে রেখে দেয়। এরপর ফের অন্য বান্ধবীকে নিয়ে আসত ওই ঘরেই। এরপর তিনি বলেন, মোদি দেশকে নিজের মায়ের মতো দেখেন। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে ক্ষমতায় আনতে হবে। কারণ, তাঁর মতো জোরদার নেতা না থাকলে, প্রত্যেক শহরে এরকম অনেক আফতাব তৈরি হবে। মোদি না থাকলে আমাদের সমাজকে রক্ষা করা যাবে না।
অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর দেশের রাজনৈতিক মহলে বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনা একটি অন্য প্রসঙ্গ, আর গুজরাতের নির্বাচন ভিন্ন একটি বিষয়, দুটো কখনই এক হতে পারে না। শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনা গোটা তোলপাড় দেশ, সেই সেইসময় এই ধরনের বিরূপ মন্তব্য করলেন হিমন্ত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, বিজেপি এই খুনের ঘটনাকে রাজনীতির রঙ দিতে চাইছে। সামনেই যেহেতু গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন, তাই লাভ জিহাদকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে এর প্রভাব ফেলতে চাইছে বিজেপি।
আরও পড়ুন:North Korea: পরমাণু বোমা বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্রর সামনে মেয়েকে প্রথম প্রকাশ্যে আনলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক
এদিকে, শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার মেয়ের এমন পরিণতিতে লাভ জিহাদকেই দায়ী করেছেন। শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছেন প্রেমিক আফতাব। মেয়ের এই পরিণতিতে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন শ্রদ্ধার বাবা। আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, আমার সন্দেহ লভ জিহাদ হয়ে থাকতে পারে। তাঁর মতে, দিল্লি পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে। তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে।