পুষ্কর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে বিজেপি-বিরোধিতার প্রধান ও একমাত্র মুখ তার আরও একবার প্রমাণ মিলল। তাই বারবার তাঁকে অপদস্থ করার কোনও ফাঁক রাখছে না গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার ফের একবার মমতাকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি উঠল কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের মন্দির শহর পুষ্করে।
এদিন দুপুরে প্রথমে আজমির শরিফ হয়ে পরে পুষ্করে যান মমতা। সেখানে ব্রহ্মা মন্দিরে পুজোও দেন। পু্ষ্করের ঘাটে পুজো দিয়ে যখন বেরচ্ছেন মমতা, তখন আচমকাই দূর থেকে ভেসে আসে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি! কয়েকজনকে ভিড়ের মাঝে স্লোগান দিতে দেখা যায়। গাড়িতে বসা মমতা সেদিকে অবশ্য ফিরেও তাকাননি। সতর্ক ছিল রাজস্থান পুলিশও। যারা ধ্বনি দিচ্ছিল, তাদের ধরতে যায়। তার আগেই অবশ্য পালিয়ে যায় বীরপুঙ্গবরা।
আরও পড়ুন: Madhya Pradesh: কলেজে চলছে লাভ জিহাদ, বিতর্কের চাপে ইস্তফা দিলেন অধ্যক্ষ
২৩ বছর পর আজমির শরিফে (Ajmer Sharif) এদিন চাদর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার রাজধানী দিল্লি থেকে দুপুরে কিশনগড় বিমানবন্দরে পৌঁছন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাঁকে গরিব নওয়াজ দরগায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তির (Kwaza Moinuddin Chisti) দরগায় চাদর চড়িয়ে প্রদক্ষিণ করেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে, সেই কামনা করেন। তাঁর নিরাপত্তায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বিশেষ সুরক্ষা বলয় তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দরগায় তিনি এসেছিলেন। এরপর এদিন সংহতি দিবসের দিন ফের একবার চিস্তির দরগায় হাজির মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে আজমির এবং পুষ্কর সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ, ২০২৪ সালে লোকসভার ভোটের আগে কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দুই পুণ্যস্থান দর্শনকে অনেকেই রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছে।