হিমাচল প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হলেন সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhvinder Singh Sukhu)। শনিবার তাঁর নাম অনুমোদন করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড (High Command) । সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার পর সুখুর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। বিদায়ী বিধানসভায় বিরোধী দল নেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী (Mukesh Agmihotri)হচ্ছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও চারবারের বিধায়ক সুখবিন্দর বলেন, “আমি এবং মুকেশ অগ্নিহোত্রী একসঙ্গে কাজ করব। কংগ্রেস আমার জন্যে যা করেছে তা কোনওদিন ভুলতে পারব না।” রবিবার দুপুর এগারোটায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন সুখবিন্দর।
সূত্রের খবর,শনিবার কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়। রাজনৈতিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের বিধায়কদের (Congress MLA) সঙ্গে আলোচনায় সব পক্ষকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মল্লিকার্জ্জুন খাড়গে সহ অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের (Observer)। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার ফলাফল ঘোষণা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। ৬৮ আসনের হিমাচল প্রদেশের বিধানসভায় কংগ্রেসের হাতে এসেছে ৪০টি আসন। আর বিজেপি জিতেছে ২৫টি আসন। তিনটি আসনে জয় পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে ওই তিন নির্দল বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁরা বিধানসভায় কংগ্রেসকেই সমর্থন করবেন।
অবশ্য কংগ্রেস আছে কংগ্রেসেই। শুক্রবার বিকেলে ৪০ বিধায়কের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পরেও মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) পদ নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছনো যায়নি। শেষে মুখরক্ষার জন্য এক লাইনের প্রস্তাবে আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব হাইকম্যান্ডের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার হিসাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিং। মান্ডির কংগ্রেস সাংসদ আপাতত দলের প্রদেশ সভাপতির (PCC President) দায়িত্বে। শুক্রবার সিমলায় কংগ্রেস অফিসের বাইরে প্রতিভাকে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁর সমর্থকরা। পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের গাড়ি আটকেও দাবি জানান তাঁরা।
কিন্তু দলের বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনায় পর্যবেক্ষকরা বুঝতে পারেন অধিকাংশই মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রতিভা সিংকে (Pratibha Singh) চান না। বরং তাঁদের একটি বড় অংশের সমর্থন আছে চলতি নির্বাচনে দলের প্রচার কমিটির প্রধান সুখবিন্দর সিংয়ের দিকে। এরপরেই আর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেনি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সতেরো বছর বয়সে রাজনীতিতে আসা সুখবিন্দর-এর বাবা ছিলেন হিমাচল রাষ্ট্রীয় পরিবহনের গাড়ি চালক। একসময় উপার্জনের জন্য দুধও বিক্রি করেছেন সুখু। পরে অবশ্য নিজের চেষ্টায় উচ্চ শিক্ষা শেষ করে আইনও পাশ করেন তিনি। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ অত্যন্ত সাধারণ পারিবারিক অবস্থা থেকে রাজনীতিতে উঠে আসা সুখবিন্দর হয়ে উঠতে পারেন দলের অন্যতম মুখ মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।