কলকাতা: বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) বঞ্চনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা (Political Debate) জমে উঠল। বৃহস্পতিবার একদিকে হাসিমারায় (Hasimara) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এদিনই নদীয়া (Nadia) জেলার বেথুয়াডহরিতে জনসভা থেকে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে, এখানে তা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকার দুর্নীতিতে জড়িয়ে। আবাস যোজনাতে দুর্নীতি হচ্ছে। এমনকী শৌচালয়েও (toilet) দুর্নীতি (Corruption) হচ্ছে। এদিনের জনসভা থেকে নাড্ডা এ রাজ্যে বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Vote) কার্যত প্রস্তুতিও শুরু করে দিলেন।
দুর্নীতি (Corruption) নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন নাড্ডা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন এখন স্বনির্ভর হওয়ার কথা। ভারত এখন ‘দেনেওয়ালা’ ভারত। বিভিন্ন দেশকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছে। মেড ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। মোবাইল তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Mamata banerjee: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন মমতা
নাড্ডা দ্বিতীয়বার সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার পরে এই প্রথম তাঁর জনসভা হল। গত সোমবার ও মঙ্গলবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হয়েছে। সেখানেই তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি হয়। আগামী বছর লোকসভা ভোট রয়েছে। ফলে পঞ্চায়েতের সঙ্গে সঙ্গে লোকসভা্ ভোটের প্রচারও তিনি শুরু করে দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তিনি এদিন কংগ্রেসি আমলের সঙ্গে মোদির জমানা তুলনা করেন। তিনি বলেন, আবাস যোজনাতে এত ঘর সেসময় হয়নি। একটি পঞ্চায়েতে একটি ঘর আসত। ঘরে ঘরে শৌচালয় হয়েছে। একদিকে রাজ্যের দুর্নীতি, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুফল এই দুই বিষয়ে পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের (Loksava Vote) প্রচারের মুখ বেঁধে দিলেন তিনি। জেপি নাড্ডার ওই সফরে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, রাজ্যে বারোটি লোকসভা কেন্দ্রে সভা করবেন জেপি নাড্ডা। আজ, বৃহস্পতিবার প্রথম সভা করলেন কৃষ্ণনগর উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে। এদিন তিনি ইসকন মায়াপুর মন্দিরে প্রথম যান। সেখানে ইস্কন মন্দিরের পুজো দিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করেন। সেখান থে্কে সড়ক পথে বেথুয়া ডহরি স্টেশন সংলগ্ন নিউ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মাঠে জনসভা সম্পর্ক অনুষ্ঠান করেন। সভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। তিনি বলেন, পদ্মে ছাপ দিন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে চোর ধরো জেল বড় কাম হাম করেঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনকো আতা হ্যায়, জব ভ্রষ্টাচার মে তদন্ত হোতা হ্যায়’। সভা শেষে বেথুয়া ডহরি অভয়ারণ্যের সামনে একটি বেসরকারি লজে রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। এবং সেখান থেকে মায়াপুর চলে যান । সেখান থেকে হেলিকপ্টারে কলকাতা।