আগরতলা: বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Assembly Elections 2023) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। প্রত্যাহার পর্ব মিটলে রাতে দেখা গেল, ভোটের ময়দানে মোট ২৫৯ জন প্রার্থী রইলেন। ৩২ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র (Nomination Paper) প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্তে (Kiran Gitte) জানান, মোট ৩১০টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়ে। ১৯টি বাতিল হয়ে যায় নানা কারণে। ফলে ২৯১টি মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন ৩২ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় লড়াইয়ে থাকলেন ২৫৯ জন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ২৯৭ জন।
এবারের ভোটে বিজেপির (BJP) প্রার্থী ৫৫ জন, সিপিএমের (CPM) ৪৩, কংগ্রেসের (Congress) ১৩, তৃণমূলের (TMC) ২৮, তিপ্রা মথার (Tipra Motha) ৪২, আইপিএফটির ৬, আরএসপি, ফব, সিপিআইএমএল, সিপিআই, টিএসপির একজন করে, টিপিপির দুজন, অন্য অস্বীকৃত দলের সাতজন এবং নির্দল প্রার্থী ৫৮ জন। সিইও আরও জানান, সিপিএমের ১৩ জন, কংগ্রেসের তিনজন, তিপ্রা মথার তিনজন এবং ১৩ জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
সিইও জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে ব্যালট পেপার বিতরণের কাজ শুরু হবে পোস্টাল ভোটের জন্য। আগামী সপ্তাহ থেকে পোস্টাল ভোটের (Postal Vote) প্রক্রিয়া চালু করা হবে। এবার পোলিং স্টেশন হচ্ছে ৩৩৩৭টি। গত ভোটে পোলিং স্টেশন ছিল ৩৩২৮টি। যে সমস্ত প্রার্থীর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) যাবতীয় ব্যবস্থা করবে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৮৫টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র জমা পড়েছে। গিত্তে জানান, ইতিমধ্যে আধা সামরিক বাহিনী রুট মার্চ শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকায়। কমিশন ভোটে শান্তি রক্ষার জন্য বদ্ধপরিকর।
ত্রিপুরায় ভোটের প্রচার আগেই শুরু হয়েছে। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার পর্ব মিটে যাওয়ার পর শুক্রবার থেকে পুরোদমে প্রচার শুরু হয়ে যাবে। শুক্রবার রাজ্যে প্রচারে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। প্রচারে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথেরও (Yogi Adityanath)। আরও অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসবেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, মহম্মদ সেলিমের মতো নেতারা প্রচার চালাবেন।