কোহিমা: অপেক্ষার আর ২৪ দিন। তারপরই ভোটের মেশিন (EVM) খুলবে নাগাল্যান্ডে। ফলে ফের একবার ভোট হবে। কিন্তু, নাগাল্যান্ডের মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে কি? হবে না। অন্তত সেরকমই বিশ্বাস করেন ক্ষুদ্র এই পার্বত্য রাজ্যের রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ (Civil Society)। তাই ভোট আসে, ভোট যায়, কিন্তু নাগা সমস্যার কোনও হাল হয় না। এ কারণে ভোট নিয়ে তেমন কোনও আলোড়ন নেই মানুষের মধ্যে।
২০১৮ সালের ভোটে বিজেপি (BJP) প্রচারে বলেছিল, সমস্যা সমাধানের নির্বাচন। ইংরেজিতে ‘ইলেকশন ফর সলিউশন।’ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগা সমস্যার এককণাও মেটেনি। আর তা নিয়েই এখন বিজেপিকে চেপে ধরছে বেশ কিছু দল। ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (NDPP), যাদের বিধায়কের সংখ্যা সবথেকে বেশি, তারা এবং বিজেপির কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া মেলেনি এ বিষয়ে। কংগ্রেস (Congress) এবং এনপিএফ (NPF) বলেছে, তারা অখুশি হলেও ভোটে লড়াই করবে।
আরও পড়ুন: Nagaland Assembly Election 2023: নাগাল্যান্ডে ভোট পরবর্তী জোটের দরজা খুলে রাখল এনপিএফ
রাজ্যের নাগরিক সমাজেরও মত, নাগা রাজনৈতিক ইস্যুর সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করেনি। বিদায়ী বিধানসভায় মাত্র ৪ জন বিধায়ক আছে নাগা পিপলস ফ্রন্টের (NPF)। এনপিএফ বলেছে, তাদের প্রথম লক্ষ্য হল নাগা রাজনৈতিক ইস্যুর সম্মানজনক সমাধান। দলের মহাসচিব জানিয়েছেন, আমরা ভোটে লড়ব। আমাদের ইস্তাহারে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের কথা তুলে ধরব। এছাড়াও রাজ্যের মূল যে সমস্যা সেই নাগা রাজনৈতিক সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেব মানুষকে।
কংগ্রেস বলেছে, নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে রাজ্যে ভোট পিছতে পারত। কিন্তু, ভোট ঘোষণা করে রাজ্যের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। ভোট ঘোষণায় কংগ্রেস খুশি নয়। প্রসঙ্গত, ৬০ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভায় এনডিপিপি-র রয়েছে ৪১ জন বিধায়ক, বিজেপির ১২, এনপিএফের ৪, নির্দল ২ এবং একটি আসন শূন্য।
নাগা রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে গঠিত নাগাল্যান্ড পিপলস অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক থেজা থেরি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছে করলেই সমস্যার হাল করতে পারে। নাগা মাদার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা রোজমেরি ডি’জুভিচু বলেন, ভারত সরকার নাগাদের অধিকার এবং ইতিহাস রক্ষায় গুরুত্ব সহকারে তার দায়িত্ব পালন করুক। রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপরই সবকিছু নির্ভর করে। যা ভোটের চেয়েও জরুরি নাগাদের কাছে।