আগরতলা: ত্রিপুরায় (Tripura) আইনের শাসন ফিরিয়ে আনা হবে। ফ্যাসিস্ত বিজেপি জমানায় গণতন্ত্রকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। রাজ্যের মানুষ বিজেপি রাজত্বে নিজের অধিকার হারিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইস্তাহার (Election Manifesto) প্রকাশ করেছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট (CPIM-led Left Front)। এবার তারা বিজেপিকে (BJP) হারাতে কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করছে।
একইসঙ্গে সিপিএমের মাস্টারস্ট্রোক, ১০ হাজার ৩২৩ জন ছাঁটাই হওয়া শিক্ষককে পুনর্নিয়োগের প্রতিশ্রুতি। মনরেগায় ২০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া, আগামী ৫ বছরে সরকারি, আধা সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে আড়াই লক্ষ নতুন চাকরি সৃষ্টিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। শুধু তাই নয়, ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জমিহীনদের জমি এবং সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেসরকারিকরণ নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বামফ্রন্ট। বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সিপিএম নেতা নারায়ণ কর, দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীসহ অন্য বাম নেতারা উপস্থিত ছিলেন ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে। ত্রিপুরার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলির স্বশাসিত জেলা পরিষদের হাতে আরও ক্ষমতা তুলে হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিপিএম।
জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ১২৫-তম সংবিধান সংশোধন ফেলে রেখে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই সংশোধনীতে ষষ্ঠ তফসিলে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থা চালু করার কথা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা টালবাহানা করে আটকে রেখেছে। পার্বত্য এই রাজ্যগুলিতে অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের আদিবাসী এলাকার স্বশাসনের প্রস্তাব রয়েছে। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী ত্রিপুরাতে ১১.৬৬ লক্ষ আদিবাসী রয়েছেন। পশ্চিম ত্রিপুরায় সবথেকে বেশি, তারপর দক্ষিণ ও উত্তর ত্রিপুরায় আদিবাসী ভোট (Tribal Vote) রয়েছে। রাজ্যের ৬০টি আসনের মধ্যে ২০ সংরক্ষিত তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যারা আদিবাসীদের মন জয় করতে পারবে, ৩ মার্চ থেকে তারাই ত্রিপুরা শাসন করবে।
সিপিএম এনিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করে বলেছে, ভোটের আগে আদিবাসীদের উন্নয়নে ওরা অনেক বড় বড় কথা বলেছে। কিন্তু, ভোটে জেতার পর সব ভোঁ-ভাঁ।