নয়াদিল্লি: আজ সোমবার দিল্লির মেয়র নির্বাচনের (Delhi Mayor Election) জন্য তৃতীয়বার সভা বসেছিল। হইহট্টগোলে ফের বানচাল হয়ে গেল তা। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মনোনীত ১০ সদস্যকে ভোটদানের অনুমোদন দেওয়ার বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদে শামিল হন আম আদমি পার্টির কাউন্সিলররা। পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো হলে সভা মুলতুবি করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার। এর আগে দু’বার বিজেপি (BJP) এবং আপের (AAP) মধ্যে ঝামেলার জেরে তা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল মেয়র নির্বাচন। রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নরের (Lieutenant Governor) পাওয়া ১০ সদস্য ভোটদান করতে পারবে কি না সেই বিতর্কেই স্থগিত হয় ৬ জানুয়ারির মেয়র নির্বাচন। এরপর ২৪ জানুয়ারি বিশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে সভা মুলতুবি করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার (Presiding Officer)।
১৫ বছর ধরে পুরবোর্ডের ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। তাকে সরিয়ে সদ্য ক্ষমতায় এসেছে আপ। সংখ্যার জোরে মেয়র পদে তারাই জিতবে। তবে স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচনের ক্ষেত্রে ততটা নিশ্চিত নয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। ১৮ সদস্যের স্ট্যান্ডিং কমিটির (Standing Committee) ৬ জনের নির্বাচন হবে আজ। এর মধ্যে আপ তিনটি জিতবে এবং বিজেপি দুটি। ছ’ নম্বর আসনও বিজেপির জেতার কথা যদি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মনোনীত ১০ সদস্যকে ভোট দিতে দেওয়া হয়। বাকি ১২ জন স্ট্যান্ডিং কমিটি সদস্যকে জোনাল নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন।
আরও পড়ুন: Mohan Bhagwat: ঈশ্বর নন, ব্রাহ্মণরাই জাতপাতের বিভেদ সৃষ্টি করেছে: মোহন ভাগবত
এদিকে পুরবোর্ডের প্রিসাইডিং অফিসার সত্য শর্মাকে (Satya Sharma) চিঠি পাঠিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির ১৬৩ কাউন্সিলর এবং নির্দল সদস্য। তাঁরা চিঠিতে জানান, মনোনীত প্রার্থীদের মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচনে ভোটদান নিয়মবিরুদ্ধ। প্রসঙ্গত, দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ২৫০ আসনের মধ্যে ১৩৪টি জিতেছিল কেজরিওয়ালের দল। ১০৩টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থান পায় বিজেপি।
মেয়র পদে ভোটদানের অনুমতি পেয়েছেন দিল্লি থেকে বিজেপির সাতজন লোকসভা সাংসদ, আপের তিন রাজ্যসভা সদস্য এবং দিল্লি স্পিকারের অনুমোদন পাওয়া ১৪ জন বিধায়ক। কংগ্রেস (Congress) ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে, যা নিয়ে সরব হয় আপ। বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে কংগ্রেসের, এমনই অভিযোগ তুলেছে তারা। এর দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার মনোনীত ১০ সদস্যের ভোটদান নিয়ে ব্যাপক হইচই করে আপ। এই ইস্যুতেই দু’বার আটকে গিয়েছিল মেয়র নির্বাচন।