নয়াদিল্লি: লোকসভায় (Lok Sabha) অশ্লীল মন্তব্য করায় বিন্দুমাত্র মনোস্তাপ নেই তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। বুধবার তিনি জানালেন, আপেলকে আপেল বলব নাকি কমলালেবু বলব? তাছাড়া তাঁর বক্তব্য সংসদে নথিভুক্ত হয়নি। নিজের বক্তব্যে অটল মহুয়া বলেন, কোদালকে কোদাল বলব ছাড়া কি বলব! বিজেপির সমালোচনার জবাবে মহুয়া বলেন, মেয়েদের মুখে এ ধরনের কথা মানায় না বলেও বলছেন অনেকে। তাহলে আমি কি পুরুষ হলে একথা বলতে পারতাম!
এদিন নিজের মতে অনড় তৃণমূল এমপি মহুয়া বলেন, আপেলকে আপেল নয়তো কি কমলালেবু বলব! আমি যা বলেছি, তা সংসদে নথিভুক্ত হয়নি। যদি ওরা আমাকে স্বাধিকার ভঙ্গ কমিটিতে (Privileges Committee) নিয়ে যায়, তাহলেও আমি একথাই বলব।
মহুয়ার অশ্রাব্য মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ অভিনেত্রী হেমা মালিনী (BJP MP Hema Malini) এদিন বলেন, সংসদের প্রতিটি সদস্য একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। ফলে তাঁদের নিজের মন্তব্য সম্পর্কে সজাগ থাকা উচিত। তাঁদের অযথা অতিরিক্ত উত্তেজনা কিংবা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া উচিত নয়। হেমা আরও বলেন, আমি জানি না স্বভাবের দিক থেকে উনি হয়তো সেই ধরনেরই মানুষ।
. @MahuaMoitra has shamed the entire WB with her unparliamentary language.
Use of such words shows the TMC culture wherein murder, violence, rape and abuses are so common. TMC leaders have lost their common sense in such atmosphere.
I feel pity for them. Bengal is watching. pic.twitter.com/O0KyuoES8j
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) February 7, 2023
কী ঘটেছিল?
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদজ্ঞাপক প্রস্তাবের উপর বক্তব্য চলছিল। লোকসভায় বরাবর মুখর মহুয়া মৈত্র আদানি ইস্যুতে বলছিলেন। তাঁর ভাষণের সময় বিজেপি এমপি-রা বারবার তাঁকে চিৎকার-হল্লা করে বাধা দিচ্ছিলেন। তখন মহুয়া বিজেপি নেতৃত্বকে তাঁদের থামানোর জন্য অনুরোধ করলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি।
মহুয়ার পরবর্তী বক্তা ছিলেন টিডিপি-র রামমোহন নাইডু। নাইডু যখন বলতে শুরু করেন, ঠিক তখনই মহুয়া বিজেপি এমপি রমেশ বিধুরিকে উদ্দেশ করে অশ্লীল একটি শব্দ প্রয়োগ করেন। যা নিয়ে বিজেপি এমপি-রা রে-রে করে ওঠেন। গতকাল রাতেই মহুয়ার ওই মন্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট করে টুইট (Tweet) করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (West Bengal State BJP president Sukanta Majumdar)।
টুইটে সুকান্ত লিখেছেন, মহুয়া মৈত্র সমগ্র রাজ্যকে লজ্জিত করেছেন। যে অসংসদীয় ভাষা তিনি ব্যবহার করেছেন, তাতে গোটা পশ্চিমবঙ্গবাসীর লজ্জায় মাথা হেঁট হয়েছে। এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করাতেই তৃণমূলের সংস্কৃতির পরিচয় মিলেছে। যে রাজ্যে প্রতিনিয়ত খুন, হিংসা, ধর্ষণ, লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটছে সেখানে তৃণমূল নেতারা তাঁদের সাধারণ জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের প্রতি আমার করুণা হয়। বাংলার মানুষ সব দেখছে।