কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) কাজ শুরু করুক। অযোগ্যদের সরিয়ে দেওয়া হোক। ওয়েটিং লিস্টে (waiting) থাকা প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যোগ্যদের নিযুক্ত করা হোক। তালিকা তৈরি হলেই আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। সব কাজ একদিনের মধ্যেই করতে হবে। বুধবার একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu)।
স্কুল সার্ভিস কমিশন আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education) উচিত, নিজে থেকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা। সিবিআই (CBI) হাতে হাঁড়ি ভর্তি রসগোল্লা তুলে দেবে এটা হয় না। এবার আদালতে এমনই সওয়াল করল সিবিআই। সেই রসগোল্লার হাঁড়ি আরশোলায় ভর্তি। পাল্টা উত্তর দিল স্কুল সার্ভিস কমিশনও।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন মন্তব্য করেন, আমাদের চিন্তা শুধু শিশুদের নিয়ে। আর যাঁরা দীর্ঘদিন চাকরির প্রতীক্ষায় বসে রয়েছেন তাঁদের নিয়ে। ইতিমধ্যে ছয় বছর হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Turkey Earthquake 2023: ভূমিকম্পের গ্রাসে রোম সাম্রাজ্যকালের ২২০০ বছরের প্রাচীন দুর্গ
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তদন্ত করছে ইডিও (ED)। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি সহ একাধিক প্রাক্তন শিক্ষাকর্তাও এখন জেলে। সেই মামলায় একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই তদন্ত চলছে। ঘটনায় সিবিআই রাজ্যের প্রথম সারির শিক্ষাকর্তাদের গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, তারপরও তদন্তে ঢিলেমি এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে একাধিকবার সিবিআইকে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে দিয়ে প্রয়োজনীয় সক্রিয় হতে বলেছে।
এদিন আদালতের নির্দেশের পরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীরা। যাদের অনেকের নাম ওয়েটিং লিস্টে (Waiting List) রয়েছেন বলে তাঁরা দাবি করেন। এখন দেখার এই ব্যাপারে কত দ্রুত স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ব্যবস্থা নেয় এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।