নয়াদিল্লি: অযোধ্যার নতুন ইতিহাস পড়বে শিক্ষার্থীরা। সিলেবাস থেকে বাদ পড়ল বাবরি মসজিদ (Babri Masjid)-গুজরাট হিংসা। চলতি সপ্তাহেই বাজারে এসেছে ‘ন্যাশনাল কারিকুলাম ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ অর্থাৎ, এনসিইআরটি-র (NCERT) নতুন সংশোধিত পাঠ্যপুস্তক। বাজারে এনসিইআরটি-র নতুন সংশোধিত পাঠ্যপুস্তক আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বাবরি মসজিদের নাম। বাবরি নামে কোনও মসজিদ ছিল না অযোধ্যায়। অযোধ্যা আন্দোলন নিয়ে যেখানে চার পৃষ্ঠার লেখা ছিল, তা কমিয়ে দুই পৃষ্ঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। মসজিদ ভাঙার অংশটা পুরোই বাদ দেওয়া হয়েছে।
এনসিইআরটি হল কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন একটি স্বয়ংশাসিত সংস্থা। তাদের নতুন সংশোধিত অযোধ্যার ইতিহাসে বাদ দেওয়া হয়েছে, বিজেপির সোমনাথ থেকে অযোধ্যা রথযাত্রার, বাবরি ধ্বংসে করসেবকদের ভূমিকা, সাম্প্রদায়িক অশান্তি, তৎকালীন বিজেপিশাসিত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া, এর কোনওটিরই উল্লেখ নেই নতুন বইয়ে। বইয়ে লেখা হয়েছে, বাবরি মসজিদের নাম মুছে দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি কাঠামো। যা ১৫২৮ সালে শ্রীরামের (Ayodha Ram Mandir) জন্মস্থানের উপর তৈরি করা হয়েছিল, যদিও এই কাঠামোর ভেতরে ও বাইরে হিন্দুদের নানা চিহ্ন ও প্রতীক স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অযোধ্যায় রামমন্দির (Ayodha Ram Mandir) তৈরি হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদ তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে আলাদা জমি। এই সংশোধনের মাধ্যমে পাঠ্যক্রমের গৈরিকিকরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি উঠেছে শিক্ষা জগতের একাংশ থেকে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ এনসিইআরটি-র ডিরেক্টর, দীনেশ প্রসাদ সাকলানি।
আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচার সফল, হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল অভিষেককে
এনসিইআরটি-র ডিরেক্টর, দীনেশ প্রসাদ সামলানোর দাবি, দাঙ্গা বা হিংসা সম্পর্কে শিক্ষা দিলে একটা ‘হিংসাত্মক সমাজ তৈরি হতে পারে’। সেই কারণেই, গুজরাট দাঙ্গা এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মতো বিষয়গুলি স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকগুলিতে যে পরিবর্তনগুলি করা হয়েছে, তা তাঁদের বার্ষিক সংশোধনের অংশ। এটা রাজনৈতিক বিষয় হওয়া উচিত নয়। গৈরিকিকরণ করার চেষ্টা করা হয়নি বলে দাবি।
অন্য খবর দেখুন
