মুম্বাই: দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া এবার রাজধানী পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে। একজন ৩৭ বছর বয়সী ব্যক্তি তাঁর লিভইন পার্টনার কে হত্যা করে বিছানার গদির ভিতর মৃতদেহ ভরে রেখে দেন তাঁর সঙ্গী। পালঘর জেলার তুলিঞ্জ থানায় হত্যাকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহটি ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, মৃতের নাম মেঘা শাহ। বয়স ৪০। মেঘা পেশায় একজন নার্স। তাঁর আর হার্দিকের সম্পর্ক মাত্র ছয় মাসের। এরই মাঝে প্রাণ হারালো সে। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার নালাসোপাড়ার বিজয় নগর এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর দেহ। আপাতত এই ঘটনায় আইপিসির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি মেঘার লিভইন পার্টনার অর্থাৎ হত্যাকারী হার্দিক, বিগত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল ।মেঘাকে খুন করে ওই দিনেই পালানোর চেষ্টা করেন তিনি । কিন্তু তাঁর স্বচেষ্টা বিফল হয়। মধ্যপ্রদেশের প্রোটেকশন ফোর্সের কর্মীদের হাতে ধরা পড়ে সে। এবং তারপরে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সেখান থেকেই এই খুনের বিষয়ে পুলিশ জানতে পারে। কিন্তু কোন কারণে মেঘাকে খুন হতে হয় সে নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গতকাল দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির নজফগড় এলাকায় একটি ধাবার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২৫ বছর বয়সি তরুণীর মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে তিন দিন আগেই দিল্লির উত্তম নগরের বাসিন্দা ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ধাবামালিক সাহিল গেহলোটকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়,’ অন্য একটি মেয়ের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সাহিলের। সে বিষয়ে তাঁর প্রেমিকা জানতে পাড়ার পরেই বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে মেজাজ হারিয়ে প্রেমিকাকে খুন করে সাহিল। তার পর তা লুকিয়ে রাখে নিজের ধাবার ফ্রিজে।