বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকে প্রথম এইচথ্রিএনটু (H3N2 virus) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর মিলল। মৃতের নাম হীরে গৌড়া (Hire Gowda)(৮২)। তিনি হাসান জেলার আলুরতালুকের বাসিন্দা। মার্চ মাসের ১ তারিখে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সর্দি নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে এই বিষয়ে কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর (Health Minister Dr K Sudhakar) সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, এইচথ্রিএনটু ভাইরাস নিয়ে তাঁরা যেন আতঙ্ক না ছড়ায়। ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর মার্চ মাসের ৬ তারিখ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য একটা অ্যাডভাইসারি পাঠায়। তাতে বলা হয় এই রোগ (Infection) নিয়ন্ত্রণ ও দূরীকরণ করতে হবে। মৃত ওই ব্যক্তি হীরে গৌড়া ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মার্চের তিন তারিখ ল্যাবরেটরির রিপোর্ট (Laboratory Report) আসে যে এইচথ্রিএনটুর কারণে তাঁর রোগ হয়েছিল। তবে এটাও জানা গিয়েছে, মৃত হীরে গৌড়া ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। হাইপারটেনশনেও ভুগছিলেন।
হাসান জেলার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এরেগৌড়া বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি ঠান্ডা, সর্দি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এইচথ্রিএনটুর জন্য তাঁর নমুনা নেওয়া হয়েছিল। মার্চ মাসের ১ তারিখে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর দুদিন পরে আমরা নিশ্চিত হই যে তিনি এইচথ্রিএনটু আক্রান্ত ছিলেন। এরপর আমরা তাঁর বাড়ির আশেপাশে বাসিন্দাদের পরীক্ষা করি। আর কারও এইচথ্রিএনটু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। যাই হোক আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছি। সেই রাজ্যের সব স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতায় নজরদারি চালাতে হবে। বা যারা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন তাঁদের উপর নজরদারি করতে হবে। পরীক্ষা করতে হবে। ওই সার্কুলারে সই করেছেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্য কমিশনার রণদীপ ডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সবরকম ওষুধ মজুত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: Sukanya Mandal | অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে তলব ইডির, বাবা-মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা
পাঁচ দিন আগে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী । স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে প্রতি সপ্তাহে ২৫টি করে টেস্ট করতে হবে। তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ভিক্টোরিয়া ও বাণীবিসলাস হাসপাতালে। যাতে ওই ভ্যারিয়েন্টকে বোঝা যায়। ১৫ বছরের নীচে, ৬৫ বছরের উর্দ্ধে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গর্ভবতী মহিলাদেরও আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি। পরিচ্ছন্নতা, ভিড় এড়িয়ে চলা এগুলি মেনে চললে এই রোগ এড়ানো যেতে পারে।