নয়াদিল্লি: মানহানির মামলায় সংসদের সদস্যপদ খোয়ানো রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আজ শনিবার সরকারি বাড়ি খালি করে দিলেন। ১২, তুঘলক লেনের (12, Tughlaq) বাংলোর চাবি আজই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আজ ছুটির দিন হওয়ায় চাবি হস্তান্তর করতে পারেননি তিনি। লোধি এস্টেট (Lodhi Estate) বাংলো খালি করার পর একই কাজ করেছিলেন রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা (Priyanka Gandhi Vadra)। আজ বাড়ি খালি করার প্রক্রিয়ায় রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের কিছু শীর্ষস্তরের নেতা।
মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন কংগ্রেস নেতা। তাঁকে দুই বছর কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে সুরাতের এক আদালত (Surat Court)। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চতর আদালতে আবেদন করেছেন রাহুল এবং জামিনও পেয়েছেন। এদিকে তাঁর সংসদের সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে উঠেপড়ে লাগে বিজেপি এবং তাতে সফলও হয়। এরপরেই ২২ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলকে সাংসদ কোটার বাসভবন ছেড়ে দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: Tapas Saha | তাপস ঘনিষ্ঠ নেত্রী সহ তার আপ্ত সহায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই
বাংলো ছাড়ার প্রক্রিয়া আগেই শুরু করেছিলেন রাহুল। গত ১৪ এপ্রিল মা সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সরকারি বাসভবনে অফিস সরিয়ে নিয়ে যান তিনি। সেই সঙ্গে নিয়ে যান কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সোনিয়ার ১০ জনপথের বাড়িতেই এখন থাকছেন রাহুল।
এদিকে কংগ্রেস নেতার এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করলেন দলের সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। সময়মতো সরকারি বাড়ি খালি করে দেওয়াকে আদর্শ আচরণ হিসেবে ব্যাখ্যা করলেন তিনি। থারুর বলেন, লোকসভা সেক্রেটারিয়েটের (Loksabha Secretariat) নির্দেশে আজ বাড়ি খালি করে দিচ্ছেন রাহুল। আদালত তাঁকে আবেদন করার জন্য ৩০ দিন সময় দিয়েছিল এবং হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ফের বাংলোতে ফেরাতে পারত। কিন্তু বাড়ি ছাড়ার তাঁর এই আদর্শ আচরণ প্রমাণ করে আইনের প্রতি তাঁর কতটা শ্রদ্ধা রয়েছে।
তুঘলক লেনের বাংলো ছাড়ার নির্দেশ পেয়েই জবাবে সম্মতিসূচক চিঠি লেখেন রাহুল। চিঠিতে তিনি লেখেন, লোকসভার নির্বাচিত সদস্য হিসেবে শেষ চার দফায় আমি এখানে থেকেছি এবং আনন্দের স্মৃতির জন্য জনাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই চিঠিতে যা লেখা আছে তা আমি মেনে চলব।