তেহট্ট: প্রায় ১৫ ঘণ্টা জেরা ও তল্লাশি চালিয়ে শনিবার সকাল ছয়টা দশ নাগাদ সিবিআই (CBI) আধিকারিকসহ কেন্দ্রীয় বাহিনী তেহট্টের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক (MLA) তাপস সাহার (Tapas Saha) বাড়ি থেকে ফিরে যান। মাঝে সামান্য বিশ্রাম নিয়েছেন বিধায়ক তাপস সাহা। একদম ভোরবেলায় বাড়ির চারপাশ আরও একবার ঘুরে দেখে সিবিআই তদন্তকারী দল। এরপর তার ব্যবহৃত গাড়িটিতেও তল্লাশি চালায়। শেষ পর্যন্ত সকালে সিবিআই আধিকারিকরা ফিরে যান।
তাপস সাহার দাবি তিনি চক্রান্তের শিকার। দলের জেলা নেতৃত্ব থেকে জেলার মন্ত্রী কেউ তার কোনও খোঁজ নেননি। দলের উপর মহল তো খোঁজ করেনি। তিন বলেন, তবে তিনি তৃণমূলেই আছেন তৃণমূলেই থাকবেন। মাথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে। দলেরই আমাকে দরকার। কর্মীরা টগবগ করে ফুটছে। পঞ্চায়েতে খুব ভালো ফল হবে।বিধায়ক বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিবিআই আধিকারিকের দল যান তাপস সাহার আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়ি বয়েরবান্ধা গ্রামে যান। সেখানে কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনী বেরিয়ে যায়। তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ তৃণণূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তৃণমূলের তেহট্ট এক নম্বর ব্লক সভাপতি ইতি। জানা গিয়েছে, এদিন তাপসের পুত্র সাগ্নিককে বেঙ্গালুরুতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের একটি দল।
এদিন তাপসের পুকুরপাড়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে পোড়া নথির বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে বিধায়কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | Eid | এনআরসি হতে দেব না, রেড রোডের নমাজে এসে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে তেহট্টের রাজনীতিতে পরিচিত তাপস সাহা ও টিনা ভৌমিকের দ্বন্দ্ব আবার সামনে এল। তাপস সাহার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বক্তব্য দিলেন জেলা পরিষদের সদস্যা টিনা ভৌমিক সাহা তিনি পরিষ্কার বললেন যে যেরকম কর্ম করবে তাকেই তার ফল ভোগ করতে হবে। দল কোনও দায়িত্ব নেবে না।এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহা বলেন, কেউ যদি পাপ করে থাকে তার ফল তাকেই ভোগ করতে হবে। কেউ তার দায়ভার নেবে না। উনি আমাকে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। উনি উনার মতো চলুক। অন্যদিকে, প্রবীর কয়ালের স্ত্রী পায়েল কয়াল সিবিআই অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, কোনও নথি নিয়ে যাননি। উনার টাকা নেওয়ার ব্যাপারে কিছু জানি না। তেহট্টের (Tehatta) তৃণমূল বিধায়ক (MLA) তাপস সাহার (Tapas Saha) বাড়িতে শুক্রবার সিবিআইয়ের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল গিয়েছিল। সেখানে তদন্তকারীরা তাঁর মোবাইল (Mobile) বাজেয়াপ্ত করেন।