জম্মু: সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে খাদে পড়ে গেল পর্যটকবোঝাই বাস, মৃত অন্তত ১০। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫৫ জন। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে (Jammu-Srinagar National Highway)।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে অমৃতসর থেকে কাটরাগামী এই বাসটি বৈষ্ণোদেবীর তীর্থযাত্রীদের নিয়েই কাটরা যাচ্ছিল। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে জাজ্জর কোটলি এলাকায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর থেকে খাদে পড়ে যায় বাসটি। ওই এলাকা থেকে কাটরার রিয়াসি জেলার গন্তব্য ছিল আরও প্রায় ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু, গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই বিপত্তি ঘটল। বাসে মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন। কাটরাতেই বৈষ্ণোদেবীর বেস ক্যাম্প করা হয়। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, মৃত যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই বৈষ্ণোদেবীর তীর্থযাত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন:Rituparno Ghosh | ঋতুহীন ১০ বছর, ঋতুপর্ণর শূন্যস্থান কি পূরণ হবে?
ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। জম্মু সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট চন্দন কোহলি বলেন, ” এই দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর ছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। বাকি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজ দ্রুতগতিতে চলছে।” মনে করা হচ্ছে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই জম্মুতে এই বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণ রাখতে না বাসটি খাদের পড়ে যায় বলে অনুমান।
উল্লেখ্য, সোমবারই রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে একটি ট্রাক্টর ট্রলি খাদে পড়ে যায়। ঘটনায় আটজনের মৃত্যু হয়। তালিকায় ছিলেন ছ’জন মহিলা, দুই শিশু। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৬ জন। মনসা মাতা মন্দির থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হন এই যাত্রীরা। মন্দিরের এক কিলোমিটারের মধ্যে এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন ট্রাক্টর ট্রলির চালক। সামাল দিতে না পেরে সেটি একটি পোলের ধাক্কা খায় এবং তারপর খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজস্থানের মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিং গুদ্ধা। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ।