নয়াদিল্লি: মণিপুরের হিংসা নিয়ে সিবিআই তদন্তের মামলাগুলি অসম হাইকোর্টে হস্তান্তরের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বলেছে, মামলাগুলি এক বা একাধিক বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে একত্রে শুনানির জন্য। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দিষ্ট বেঞ্চে অভিযুক্তদের হাজিরা, পুলিশ হেফাজত, জেল হেফাজত এবং হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা হবে অনলাইনে।
নির্যাতনের শিকার, সাক্ষী এবং সিবিআই মামলায় যুক্ত কারও যদি অনলাইনে মুখ দেখাতে আপত্তি বা ভয় থাকে, তাহলে তিনি গৌহাটির আদালতে সরাসরি হাজিরা দিতে পারেন। অনলাইন বিচারের জন্য মণিপুর সরকারকে সচল ও দ্রুতগামী ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: সব মিথ্যা, কারগিলে রাহুলের তোপ মোদিকে
উল্লেখ্য, গত ২১ অগাস্ট মণিপুরের জাতিদাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ত্রাণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিচারপতি গীতা মিত্তলকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনা সহ মোট ১০টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত প্যানেল মোট তিনটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পরিচয়পত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি।
সিবিআই মামলাগুলি প্রতিবেশী রাজ্যে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেছিলেন, মণিপুরে বিচার প্রক্রিয়া চললে বিচারপতিদের জাতি পরিচয় একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আসতে পারে। সে কারণে মামলাগুলি যাতে পাশের অসমে হয়, তার আবেদন জানিয়েছিলেন মেহতা। যদিও নির্যাতিতদের আইনজীবীরা মেহতার আবেদনের ঘোরতর বিরোধিতা করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, যেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেখানেই বিচার প্রক্রিয়া চলা উচিত। নির্যাতিতেদের গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে অসমে যেতে বাধ্য করা যায় না। এমনকী অসমে বিচার চললে ভাষাগত সমস্যার কথাও তোলেন তাঁরা। বিকল্প হিসেবে অসমের জায়গায় মিজোরামের নাম প্রস্তাব করেন আইনজীবীরা।