নয়াদিল্লি: চীনের (China) নয়া দুটি কাউন্টি (Two counties) ঘোষণা নিয়ে বিজেপি (Bjp) ও কংগ্রেসের (Congress) মধ্যে রাজনীতি তুঙ্গে। দুপক্ষই দু’পক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এবার এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya head BJP’s IT cell)
মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ‘একবার ভাবুন, নেহরুর (Nehru) বিশ্বাসঘাতকতার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Narendra Modi) দোষারোপ করা হচ্ছে, এক্স হ্যান্ডেলে এইভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অমিত মালব্য।
আরও পড়ুন: দীর্ঘায়ু কামনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনে শুভেচ্ছা মোদির
মালব্য বলেন, জওহরলাল নেহরুর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সমস্ত ঘটনা ঘটলেও ভারতীয় ভূখণ্ডের চীনা অধিগ্রহণের কথা বলা কংগ্রেসের অসততা রয়েছে। চীন ঘোষিত নতুন কাউন্টি সম্পর্কিত বাস্তবতা এখানে রয়েছে:
হি’আন কাউন্টি হল আকসাই চীনের নতুন নাম, যেটি চীন ১৯৬২ সালে দখল করেছিল। হেকাং কাউন্টি সংলগ্ন অঞ্চলকে বোঝায়। হেয়ান কাউন্টির তাৎপর্য G219 হাইওয়েতে রয়েছে, যা চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫৭ সালে খুলেছিল। প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ১৯৫৯ সালে সংসদে এর নির্মাণের স্বীকৃতি দেন।
হি’আন কাউন্টির মূল বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
হাজি ল্যাঙ্গার: ১৯৫৯ সালে চীন দ্বারা অধিকৃত; ১৯৫৮ সালে এখানে একটি ভারতীয় টহলদারকে আটক করা হয়েছিল।
কিজিল জিলগা: ১৯৬২ সালে চীন দ্বারা বন্দী।
চুং তাশ: ১৯৬২ সালে চীন দ্বারা অধিকৃত।
দেহরা কম্পাস: ১৯৬১ সালে চীন দ্বারা দখল করা হয়।
শামাল লুংপা: ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে চীন দ্বারা আটক করা হয়েছিল, ১৯৫৯ সালে ভারতীয় টহলদের উপর আক্রমণের স্থানের কাছাকাছি।
অমিত মালব্য যোগ করেন, রাহুল গান্ধী অন্য রকম ভাবতে পারেন, তবে কংগ্রেস এই ধরনের মিথ্যা থেকে রেহাই পাবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর মধ্যস্থতায় চিন ও ভারতের মধ্যে বরফ গলছে বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু ফের নয়া বছর থেকেই নতুন করে ভারত ও চিনের মধ্যে জলঘোলা শুরু হয়েছে।
বেআইনিভাবে দখল করে রাখা লাদাখের একাংশকে নিয়ে চীন যে নয়া দুটি কাউন্টির ঘোষণা করেছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। কড়া ভাষায় ভারত জানিয়ে দিয়েছে, বেআইনিভাবে কোনও জায়গা দখল করলেই সেটা চীনের হয়ে যাবে না। হোতানের আওতায় চীন যে নতুন দুটি প্রদেশ তৈরির ঘোষণা করেছে, সেই নিয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, চীন যে তথাকথিত কাউন্টির ঘোষণা করেছে, তার একাংশ ভারতের লাদাখের মধ্যে পড়ে। চীনের এই কর্মকাণ্ডকে ভালো চোখে দেখছে না ভারত। চীন যে দুটি নয়া কাউন্টি তৈরির ঘোষণা করেছে, তাতে ওই অঞ্চলে ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হবে না। আর চীন বেআইনিভাবে কোনও কিছু জায়গা দখল করে নিলেই সেটি বেজিংয়ের হয়ে যাবে না।
দেখুন অন্য খবর: