পাটনা: ফের সিগন্যাল বিভ্রাট। সিগন্যাল লাল থাকার সত্বেও চম্বল এক্সপ্রেস ঢুকে পড়ে লুপ লাইনে। সেই সময় ওই গাড়ির গতিবেগ ছিল ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি। কিন্তু লুপলাইনে অন্য কোনও ট্রেন না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মেলে। বিহারের ভাবুয়া স্টেশনের কাছে ঘটে ঘটনাটি। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চালক এবং সহকারীর অসাবধানতার কারণেই এমনটা হয়েছে। তারপরেই চম্বল এক্সপ্রেসের চালক এবং সহকারীকে সাসপেন্ড করেছে রেল।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে যখন ভাবুয়া স্ট্রেশনের কাছে তখন সেখানের সিগন্যাল ছিল লাল। ওই এক্সপ্রেসের চালক কিংবা সহকারী কেউই তা বুঝতে পারেননি। সিগন্যাল না মেনেই চম্বল এক্সপ্রেসের আটটি বগি লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু সেই সময় লুপ লাইনে অন্য কোনও ট্রেন না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার খবর পেয়েই অকুস্থলে পৌঁছন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রাজেশ গুপ্ত। তদন্ত শুরু হয়, আর তাতেই উঠে আসে এই তথ্য। তার পরেই এক্সপ্রেসের চালক এবং সহকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, জানুন আজকের আবহাওয়া
সম্প্রতি ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনে কিছু দিন আগেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। ওই ঘটনার পর সিগনালিং নিয়ে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। তবে ভাবুয়া স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় লুপ লাইনে কোনও ট্রেন না থাকায়।