নয়াদিল্লি: লাদাখে (Ladakh) ভারত ও চীনের (China) সেনার মধ্যে সংঘাতের দেড় বছর অতিক্রান্ত৷ ইতিমধ্যে শান্তি ফেরাতে একাধিকবার সেনা স্তরে বৈঠকে বসেছে দুই দেশ৷ কূটনৈতিকভাবেও সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করেছে ভারত (India)৷ কিন্তু শান্তি আলোচনার মধ্যে একাধিকবার উল্টো পথে হেঁটেছে বেজিং৷ হঠাৎ হঠাৎ আক্রমণাত্মক এবং আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় ড্রাগন বাহিনীকে৷ পিএলএ-র এই আচরণকে ‘প্ররোচনামূলক’ বলে তোপ দাগল ভারত৷ জানিয়েছে, ‘প্ররোচনামূলক আচরণের’ জন্য পূর্ব লাদাখ সীমান্তে কিছুতেই শান্তি ফিরছে না৷ বরং সেখানে বড় সংখ্যায় সেনা জড়ো হতে শুরু করেছে৷ বৃহস্পতিবার বেজিংকে এ নিয়ে আরও একবার সতর্ক করে দিল বিদেশমন্ত্রক৷ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, চীন আগ্রাসী হয়ে উঠলে ভারতও কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না৷
আরও পড়ুন: সিব্বলের বাড়িতে কংগ্রেসীদের ‘হামলা’, ‘অসহায়’ বোধ চিদম্বরমের
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, সীমান্তের কাছে চীন বড় সংখ্যায় সৈন্য পাঠিয়ে আবার অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা শুরু করেছে৷ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তাই ভারতের সেনাবাহিনীও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে৷ দেশের নিরাপত্তা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এর পাশাপাশি তিনি চীনকে ‘প্ররোচনামূলক আচরণ’ এবং ‘একতরফা ভাবে সীমান্তের চরিত্র বদলের চেষ্টা’ থেকে বিরত থাকতে বলেন৷ জানান, এতে এলএসি-র শান্তি নষ্ট হচ্ছে৷ অস্থিরতা বাড়ছে৷
আরও পড়ুন: দৈনিক আয় ১,০০২ কোটি টাকা, মুকেশের পর এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি
বিদেশমন্ত্রকের প্রতিক্রিয়ার আগে বেজিংয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, ভারতের সেনাবাহিনী বেআইনিভাবে চীনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করার জন্যই পূর্ব লাদাখে সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷ এজন্য ভারতের ‘ফরোয়ার্ড পলিসি’কে দোষারোপ করে চীন৷ যারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক৷ চীনের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেন অরিন্দম বাগচি৷ বলেন, ভারত আশা করে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং প্রোটোকল মেনে চীন সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করবে৷