হাথরস: গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) উত্তরপ্রদেশের হাথরসে (Hathras) ধর্মীয় সমাবেশে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। তার ঠিক সপ্তাহ পরে প্রায় ৩০০ পাতার রিপোর্ট দিল বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT)। অতিরিক্ত ভিড়ের চাপেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে। একই সঙ্গে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না সিট, এবং তা নিয়ে গভীরতর তদন্তের সুপারিশ করেছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আয়োজকদের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে কারণ তারা ওই বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে পারেনি। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনও এই ইভেন্টকে গুরুত্ব সহকারে দেখেনি বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ৮০ হাজার মানুষের জন্য অনুমতি চেয়েছিল আয়োজকরা, সেখানে ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ।
আরও পড়ুন: উপত্যকায় ফের জঙ্গি হামলা, সংঘর্ষে মৃত ৪ জওয়ান, জখম ৪
জানা গিয়েছে, এই রিপোর্টে ১১৯ জনের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে হাথরসের জেলাশাসক, পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং এসডিএম-এর বিবৃতিও। ২ জুলাই কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের বিবৃতিও রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এফআইআরে প্রথমে নাম ছিল না সূরয পাল সিং (Suraj Pal Singh) ওরফে নারায়ণ সাকার হরি (Narayan Sakar Hari) ওরফে ভোলেবাবার (Bholebaba)। ৬ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই দিনেই ভোলেবাবা এক ভিডিও বার্তায় জানান, হাথরসের ঘটনায় তিনি শোকাহত, এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের তিনি আইন ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখতে বলেন। এর মধ্যে স্বঘোষিত ধর্মগুরুর আইনজীবী এ পি সিং দাবি করেন, কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সমাবেশে বিষ স্প্রে করায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দেখুন অন্য খবর: