নয়াদিল্লি: দিল্লির সীমাপুরী এলাকা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিস। সীমাপুরী থেকে উদ্ধার হওয়া ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং গত মাসে গাজিপুর বাজার থেকে পাওয়া আইইডি একই ধরনের। পুলিস সূত্রে খবর, জনবহুল এলাকাগুলিতে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসবাদীদের। সীমাপুরীর ঘটনায় স্থানীয়দের যোগ থাকতে পারে বলেও অনুমান পুলিসের।
দিল্লির পুলিস কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, তদন্তে উঠে এসেছে এই আইইডিগুলি জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। স্থানীয় সমর্থন ছাড়া এই ধরনের কার্যকলাপ সম্ভব নয়। দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলের আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত করছেন। সমস্ত সূত্র মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। গাজিপুরের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লির সীমাপুরী এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তিন কেজি আইইডি৷ একটি ব্যাগের ভিতর ওই আইইডি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল৷ দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, সীমাপুর এলাকার ওই বাড়ির মালিকের নাম কাসিম৷ বেশ কয়েকদিন আগে বাড়ির দ্বিতীয় তলাটি তিনি শাকিল নামে এক ব্যক্তিকে ভাড়া দিয়েছিলেন৷ একমাস আগে দিল্লির গাজিপুর এলাকার ফুল বাজার থেকে যে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Baruipur Promoter Murder: প্রোমোটারকে পিটিয়ে খুন, নেপথ্যে ‘চোর সন্দেহ’ নাকি অন্য কিছু?
তদন্তে পুলিস জানতে পারে, বাড়িটি একজনকে ভাড়া দেওয়া হলেও ১০ দিন আগে তিন ব্যক্তি সেখানে থাকা শুরু করে৷ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পুলিসের কাছে একটি উড়ো ফোন আসে৷ তারপরই সীমাপুরের ওই বাড়িতে পৌঁছয় পুলিস৷ ততক্ষণে পালিয়ে যায় তিনজন৷ পুলিস মনে করছে, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হয়েছে৷ যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা সম্ভবত স্লিপার সেলের অংশ৷