নয়াদিল্লি: আজ বৃহস্পতিবার থেকে যন্তরমন্তরে কৃষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে৷ তার আগে বুধবার যন্তরমন্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে গেছেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার বালাজি শ্রীবাস্তব৷ তাঁর সঙ্গে পুলিশের অন্যান্য পদস্থ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷ করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে তা খতিয়ে দেখা হয়৷
আরও পড়ুন- নব্বইয়ের ভয়াল স্মৃতি ফিরিয়ে শহরে ফের স্টোনম্যান আতঙ্ক
বুধবার গভীর রাতে বিবৃতি দিয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশি ঘেরাটোপে কৃষকরা যন্তরমন্তরে পৌঁছবে৷ একই রকম ভাবে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে৷ শুধুমাত্র যাদের পরিচয় পত্র আছে, তারাই কেবল যন্তরমন্তরের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন৷ ঠিক তেমনি করোনা কারণে কৃষকরা যন্তরমন্তরের অন্য কোথাও বিক্ষোভ দেখাতে পারবে না৷ কয়েক জনের দলে দলে ভাগ হয়ে প্রায় ২০০ জন একসঙ্গে বিক্ষোভ দেখাতে পারবেন৷
আরও পড়ুন- রাতের অন্ধকারে মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টা, শহরে স্টোনম্যান আতঙ্ক
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আগেই জানিয়েছিল যে, তারা সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভল দেখাবান৷ কিন্তু, সংসদে অধিবেশন চলায় অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ যদিও আন্দোলনকারী কৃষকরা দাবি করেছিলেন, সংসদ ভবনের বাইরে শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ দেখানো হবে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, বাদল অধিবেশনের শুরুতে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য সমস্ত বিরেধীদলগুলিকে আহ্বান জানানো হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আন্দোলনের আঁচ প্রায় নিভে এসেছিল। পঞ্জাব, হরিয়ানা সীমান্তের বদলে এবার সংসদ ভবনের বাইরে কৃষকরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি সরিয়ে আনতে চাইছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনার পর কৃষক বিক্ষোভে এবার সংসদ ভবনের নিরাপত্তা কঠোর রাখা দিল্লি পুলিশের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে।
আরও পড়ুন- এটিএম থেকে কোটি টাকা লুঠ, গ্রেফতার ৩
দিল্লির যন্তরমন্তরে ঢুকতে না দিলে সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হবে না। শনিবার এই দাবিতেই অনড় থাকেন বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার সিংঘু বর্ডারে পৌঁছন সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছিলেন, সিংঘু সীমান্ত থেকে আপাতত তাঁরা অন্যত্র সরে যাচ্ছেন না। পরিবর্তে ওই এলাকাতেই অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হবেন তাঁরা। এর জেরে আগামী ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা প্রস্তাবিত বৈঠককে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নতুন করে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলার কিছু নেই। তিনটি কৃষি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। একমাত্র তাহলেই আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- হাড়োয়ায় মমতার ভার্চুয়াল সভায় ধুন্ধুমার, দু’পক্ষের গুলি-বোমায় মৃত ২, ধৃত ১৮