নয়া দিল্লি : পেগাসাস নিয়ে মামলা চলাকালীন ভারতে নব নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন বৃহস্পতিবার জানান, স্পাইওয়্যার পেগাসাসের ব্যবহার ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে আড়ি পাতার ঘটনার তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ৩ সদস্যের একটি কমিটি হয়েছে।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল অপরাধী এবং সন্ত্রাসবাদীদের গতি প্রকৃতির উপর নজরদারি চালানো। গিলনকে পেগাসাসের ব্যবহার এবং ভারতের সঙ্গে ইসরাইলের এই বিষয়ে যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তার উত্তরে তিনি জানান, তিনি এই বিষয়ে কিছু বলবেন না। কারণ এটি ইসরাইলের একটি বেসরকারি কোম্পানির তৈরী। ইসরায়েল সরকার এই বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে কেবল লাইসেন্সর অনুমোদন দেয়। গিলন জানান, এই পেগাসাস একমাত্র বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি কোনও বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করতে পারে না। তবে ভারতে যা ঘটেছে সেটা একান্তই তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। গিলন আরও জানান,ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পেগাসাস কিনেছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রের আবেদন খারিজ, সুপ্রিম কোর্টের ঠিক করা কমিটিই খুঁজে দেখবে কীভাবে পেগাসাস
সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস সংক্রান্ত বিষয়টি বিচারের জন্য গেলে সেখানে যে ৩ সদস্যের প্যানেল গঠন করা হয় । সেখানে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রতিবার রাষ্ট্র ফ্রী পাস পেতে পারে না। ইসরাইলের যে কোম্পানির পেগাসাস তৈরি করেছিল তারা জানায়, পেগাসাস প্রকল্পের দ্বারা যে রেকর্ডগুলি করা হয়, তার সঙ্গে পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর কোনও সম্পর্ক নেই। পেগাসাস নিয়ে যারা অপরাধ ঘটিয়েছে তাদের সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে অস্বীকার করেন গিলন। কারণ তদন্ত এখনও চলছে এবংতাঁর আশা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এই তদন্ত শেষ হবে।